বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী আজ থেকে নতুন রাজনৈতিক ক্যারিয়ায় শুরু করতে চলেছেন। কলকাতার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে হওয়া নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় আজ মিঠুন চক্রবর্তী উপস্থিত থাকতে পারেন। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাতেই মিঠুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও এখনও পর্যন্ত BCCI এর সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এখনও সাসপেন্স বজায় আছে।
বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তীর গুরুত্ব সবাই জানেন। তিনি বড়সড় ক্রাউড পুলার। ৯০ এর দশকে ওনার সব সিনেমাই সুপারহিট হত। নিজের সিনেমায় দুর্নীতি, অত্যাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা নায়কের অভিনয় করা মিঠুন এখন সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চলেছেন। যদিও, এর আগেও তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন।
গতরাতে মিঠুনের কলকাতায় আসা আর বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করা জল্পনার অবসান ঘটিয়েছে। গতকাল রাতেই বিজয়বর্গীর ট্যুইট করে লেখেন, ‘রাতে কলকাতার বেলগছিয়ায় সিনেমা জগতের বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন দা’র সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়। তাঁর দেশপ্রেম এবং দরিদ্রদের প্রতি ভালবাসার গল্প শুনে তাঁর হৃদয় জেগে ওঠে।”
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিজয়বর্গীয়র এই সাক্ষাতের পর রাজনৈতিক চিত্র পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঞ্চে উঠে মিঠুন দা ছোট ভাষণও দেবেন। তিনি এই নির্বাচনে বাংলার মানুষের কাছে বিজেপির হয়ে ভোটও চাইবেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে লড়বেন কি না, সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না।
আরেকদিকে, চর্চাতে আরও একজনের নামও আছে। তিনি হলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত থাকবেন। যদিও, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতি করবেন না। তবুও ওনাকে নিয়ে সাসপেন্স এখনও বজায় আছে। এছাড়াও বাংলার আরও এক বিখ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।