সোমবার থেকেই অনলাইনে পরীক্ষা শুরু প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

সোমবার থেকে রাজ্যের বেশ কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমেস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের ওয়েবসাইটে প্রশ্নপত্র আপলোড করে বা পরীক্ষার্থীদের মেল করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য কত সময় বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং উত্তর কীভাবে কোথায় জমা দিতে হবে সেব্যাপারে নির্দেশিকা ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীদের কাছে ইমেলে করে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ১০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে পরীক্ষা নেবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতে প্রথম-সেমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা ২০ মার্চ থেকে শুরু হবে। কিন্তু তৃতীয় ও পঞ্চম সেমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা শুরু হবে ৮ মার্চ থেকে। ইউজিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী কলেজগুলিকে মার্চের মধ্যেই সেমেস্টার পরীক্ষাগুলি নিয়ে নিতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকাত্তর পর্যায়ের সেমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের অনার্স বিষয়ের পরীক্ষা ১০ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৪ মার্চ শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ১ মার্চ থেকে সাধারণ বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান বলেছেন, “আগে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আগে থেকে সময় নির্ধারিত থাকত। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির জেরে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, প্রতিটি বিভাগ পৃথকভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাসের আলাদা রুটিন তৈরি করেছিল।”

করোনাকালে এখনও স্কুল-কলেজগুলিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরেনি। এরাজ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে স্কুলগুলিতে ফের ক্লাস চালু হয়েছে। যদিও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সব ক্লাস চালু করা হয়নি। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে স্কুগুলিতে সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্কুলগুলিতে দূরত্ববিধি মেনে চলার ব্যাপারে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। সেকশেনর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

স্কুলে একসঙ্গে ভিড় বা যে কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে স্কুল চলাকালীন কোনওভাবেই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা না বলে সেব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই এই তৎপরতা চলছে স্কুলে-স্কুলে। স্কুলে এসে কোনও পড়ুয়া বা শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীদের কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানোর নির্দেশও জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.