নির্বাচনের আগে ব্রিগেড সবসময়ই শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহে বাম-কংগ্রেসে বিগ্রেড ঘিরে দেখা গিয়েছিল তেমনই উন্মাদনা। তবে এবার প্রেক্ষাপটে বড় বদল। নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণার পর এই প্রথম জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবারের এই ব্রিগেড যে মেগা অনুষ্ঠান হতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কী বার্তা দেন মোদী, কী রণকৌশল ঠিক করে দেন আজ সেদিকেই তাকিয়ে সমর্থকেরা।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘বাংলার ইতিহাসে এটাই সব থেকে বড় ব্রিগেডের জনসভা হতে চলেছে।’ রবিবারের সকালে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারে করে রেস কোর্সে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে যাবেন ব্রিগেডে। মূল মঞ্চ তৈরি হয়েছে ময়দানের মাঝামাঝি। মূল মঞ্চের ঠিক দু পাশে থাকবে ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুটের আরও দু’টি ছোট মঞ্চ। সেখানে বসবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
এদিকে আজ মোদীর ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাতেই কলকাতায় এসেই বেলগাছিয়ায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দু’দফার নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আজ ব্রিগেড থেকে বাংলা দখলের যুদ্ধে ঝাঁপাতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।