শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অন্দরে বিক্ষোভের চিত্র ফুটে উঠেছে। যারা টিকিট পাননি তাঁরা আর তাঁর অনুগামীরা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেই চলেছেন। আর এর মধ্যে দল ছাড়ার হুমকি দিলেন চাকদহের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। আর কয়েকজন তৃণমূল বিধায়কের মতো ওনাকেই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়নি। আর সেই কারণে তিনি দল ছাড়ার কথা বললেন।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রত্না ঘোষ কর বলেন, বহুদিন ধরে সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করে এসেছি। কিন্তু এত কিছু করার পরেও আমাকে প্রার্থী করা হয়নি। রত্না ঘোষ কর অভিযোগ করে বলেন, চাকদহ কেন্দ্রে আমার জায়গায় যাকে প্রার্থী করা হয়েছে, সে কোনদিনও দলীয় পতাকা হাতে নেয়নি। কিন্তু তাঁকেই এখন চাকদহের প্রার্থী করলেন দলনেত্রী। এরপর তৃণমূলের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে রাখার আর কোনও মানেই হয় না।
file pic
তবে তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না সেটা নিয়ে এখনও মুখ খোলেন নি। তিনি শুধু জানিয়েছেন দেখা হবে ভোটের ময়দানে। উল্লেখ্য, রত্না ঘোষ কর প্রথম না যিনি টিকিট না পেয়ে দল ছাড়লেন। শুরুটা করেছিলেন বীরভূমের নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন সামস। এরপর টিকিট প্রত্যাশী দীনেশ বাজাজও তৃণমূল ছাড়েন। এমনকি তিনি বিজেপিতে যোগ দিতেও চলেছেন।
আজ সকালে তৃণমূলের শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, আমি টিকিট নিতে আসিনি আর প্রার্থীও হতে চাই না। আমি নিঃস্বার্থ ভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করতে চাই। আরেকদিকে, তৃণমূলের দাপুটে বিধায়ক সোনালী গুহও দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে সুত্রের খবর।
আগামীকাল নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে তিনি বিজেপির পতাকা হাতে নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের বাড়িতে আনাগোনা বেড়েছিল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের। সেখানে সোনালী গুহও উপস্থিত ছিলেন বলে সুত্রের খবর।