লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি, তার সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধি। কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। এই এই ভাড়া বৃদ্ধি যে সাময়িক তা জানিয়ে দিল রেল। করোনা পরিস্থিতিতে প্ল্যাটফর্মে যাতে অতিরিক্ত ভিড় না হয়, সেদিকে রাশ টানতেই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে, তারপরেই কমিয়ে দেওয়া হবে ভাড়া। এই ভাড়া বৃদ্ধি একেবারেই সাময়িক।
যদিও অনেকের আশঙ্কা এভাবে করোনা জুজু দেখিয়ে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বা স্বল্পদূরত্বের ক্ষেত্রে টিকিটের দাম বৃদ্ধি হলেও পরবর্তীতে তা কতটা কমানো হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফলে চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্তের।
এর আগে, রেলের তরফ থেকে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এতদিন প্লাটফর্মে ১০ টাকার টিকিট থাকায় পরিবারের সদস্যদের স্টেশনে ছাড়তে আসতেন অনেকেই। কিন্তু এখন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হলে ৩০ টাকার টিকিট যেমন কাটতে হবে তেমনি যাঁরা এতদিন ১০ টাকা দিয়ে রেল সফর করতেন তা বাড়িয়ে করা হল ৩০ টাকা।
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ভাবেই বিরাট অংশের জনগণের পকেটে বড় কোপ পড়তে চলেছে। আগে যে দূরত্ব যেতে মাত্র ১০ টাকা খরচ হত, তাতে এখন বেড়ে দাঁড়াল ৩০ টাকা, ফলে এই আগুন দ্রব্যমূল্যের বাজারে শিরে সংক্রান্তি আমজনতার।
দাম বৃদ্ধির জেরে মারাত্মক খারাপ অবস্থায় পড়েছে মধ্যবিত্ত। বাজারে আগুন দাম, হেঁসেলে সিলিন্ডারের অগ্নিমূল্য, পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে এবার ট্রেনের টিকিটেরও ভাড়া বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। উল্লেখ্য, গত মাসেই রেল সিদ্ধান্ত নেয় স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ানো হবে। সাফাই হিসেবে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে যাতে লোকে অহেতুক ট্রেনে সফর না করেন তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু মানুষ ট্রেন পরিষেবা এড়িয়ে চলবে ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই নিঃশব্দে বেড়েছিল দূরপাল্লার ট্রেন ভাড়া।