বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর মহিলা অফিসারদের আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সেনার মহিলা অফিসাররা দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেছেন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা পালন করা হয়নি।
আবেদনে দাবী করা হয়েছে যে আদালত আগে যে রায় দিয়েছিল তা যারা মেনে চলেনি বা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্ট এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল যে স্থায়ী কমিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের নিয়োগ করবে। এক্ষেত্রে তাদের চাকরির বছর না দেখেই নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছিল। আদালত এও বলেছিল যে দিল্লি হাই কোর্টের রায়ের পরে কেন্দ্রের মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশন মঞ্জুর করা উচিত।
গত বছর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল মহিলাদের যেন সেনাবাহিনীতে নন-কমব্যাট সাপোর্ট ইউনিটে তাদের পুরুষ সহযোগীদের মতো স্থায়ী কমিশন গঠন করে। বিচারপতি ড. ডি ওয়াই চন্দ্রহুডের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই বেঞ্চে বিচারপতি এম আর শাহও ছিলেন। এক মহিলা অফিসারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি শুরু করে আদালত। ওই মহিলা অফিসারের আইনজীবী চিত্রাঙ্গদা রাষ্ট্রভারা এবং অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড (এওআর) অর্চনা পাঠক দ্যাভে সুপ্রিম কোর্টের এই আবেদন পেশ করেন। যত দ্রুত সম্ভব সুপ্রিম কোর্টের পুরনো অর্ডার কার্যকর করার জন্য আবেদন জানান তাঁরা।
এদিকে সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে সেনায় ৬১৫ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪২২ জন স্থায়ী সমিশনের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু বাস্তবিকভাবে এই ৪২২ জনের মধ্যে মাচ্র ২৭৭ জনকে স্থায়ী কমিশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি অফিসারের মধ্যে ১৪৫ জন নন-অপিটস। বলা যেতে পারে তাদের ফলাফল শারীরিক ও প্রশাসনিক কারণে আটকে রয়েছে। বাকি ১৯৩ জন অফিসার এক্ষেত্রে যোগ দিতে অস্বীকার করে দিয়েছেন। ৪২২ জনের এই চিত্রটি পরিসংখ্যানের দিক থেকে ভাল। কিন্তু এটি সত্যিকারের সংখ্যা তুলে ধরে না।