শুভেন্দু অধিকারির দল বদলের পর থেকে চর্চায় নন্দীগ্রাম। তার উপর আবার এই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়ার কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও কোনও দলেরই প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়তে পারেন শুভেন্দু। যদিও তাঁর মতে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ান বা অন্য কেউ লড়ুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তিনি হারিয়েই ছাড়বেন।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া বিজেপি। তাই তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছেন তাঁদের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেবে গেরুয়া শিবির। এমনটাই এখনও পর্যন্ত খবর। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। যেহেতু দ্বিতীয় দফার ভোট যে সব জায়গায় হবে তার মধ্যে নন্দীগ্রামেরও নাম রয়েছে তাই এদিন এখানকার প্রার্থী ঘোষণার সম্ভাবনা প্রবল। শোনা যাচ্ছে তৃণমূল থেকে দল বদল হয়ে আসা ১৯ জনকে বিজেপি এ বছর টিকিট দিতে চাইছে। তাঁদের মধ্য়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা তাঁদের পুরনো কেন্দ্র থেকেই লড়তে পারেন।
তবে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে প্রাক্তন দলের নেত্রীকে একহাত নিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, তিনি নন্দীগ্রামে দলের প্রার্থী হোন বা না হোন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি হারাবেনই। শুভেন্দু বলেন, যদি দল তাঁকে প্রার্থী করে তবে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকে হারাবেন তিনি। আর দল অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো দায়িত্ব তাঁর। বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীনাথপুরের একটি জনসভায় একথা বলেন শুভেন্দু।
defeatকোন বিধানসভা এলাকায় কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। দিল্লিতে হবে এই বৈঠক। ৬০টি সিটের জন্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে এদিন সিদ্ধান্ত হবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, বিজেপি নেতা বি এস সন্তোষ ও দলের অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।