প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায় করল রাজ্য সরকার। ১৬ হাজার ৫০০ শূন্য পদে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের উপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জে করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের করে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ।
বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হয়েছে আপিল মামলাটি। পাশাপাশি যে সমস্ত প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তারাও আজ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৪ র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১৬ হাজার ৫০০ শূন্য পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাঁরা টেট উত্তীর্ণ এবং যাঁদের প্রশিক্ষণ রয়েছে, একমাত্র তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। এর পর শুরু হয় বাকি প্রক্রিয়া। মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৮৪ জন। জানুয়ারি মাসে ৭ দিন ধরে ইন্টারভিউ হয়।
পর্ষদ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যারা টিচারদের ১০% সংরক্ষণ রাখা হয়। এছাড়াও এত কম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এযাবত কালে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারিনি বলেই পর্ষদ সূত্রের দাবি। কিন্তু ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার গভীর রাতে প্রকাশিত মেধাতালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং নিয়োগে বেনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে ছ’টি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে আদালতে। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা।