বঙ্গে ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ২৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। মঙ্গলবারই নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখতে চায় না কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৫ মার্চের মধ্যেই রাজ্যে আরও ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে যাবে।
করোনাকালে এবার রাজ্যে ভোটদানের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সকাল সাতটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে রাজ্যে। জেলায়-জেলায় সেই বাহিনী টহলদারি শুরু করেছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় রুটমার্চ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোরও কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে এসে যাবে আরও ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় টহল দিচ্ছেন জওয়ানরা। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে আট দফায়। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল।
৩০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১ টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে।
রাজ্যে এবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে জোরদার তৎপরতা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা ভোটের জন্য এরাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অজয় নায়েককে। মৃণালকান্তি দাস ও বিবেক দুবেকে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভর করে বাংলায় পাঠাচ্ছে কমিশন। রাজ্যে ভোটে আয়-ব্যয়ের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বি মুরলিকুমারকে।