রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ পর্ব। সন্ধ্যে ছটার পরিবর্তে সাড়ে ছটা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ পর্ব।
এদিকে, আজ বিকেল ৫.৩০ মিনিটে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করবেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে চলবে আলোচনা। এর আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান, করোনা আবহে (Covid situation) ভোট করানোটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিহার নির্বাচনের উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে প্রথম ভোট ছিল বিহারে। তিন দফা বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল করোনা সংক্রমণ। এবারও তাই করোনা পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election commission has issued rules)।
জানানো হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারেই রাশ টানা হবে। প্রচার করার ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম জারি করেছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, প্রচারের জন্য কোন মাঠ ফাঁকা রাখা হবে, তার তালিকা তৈরি করা হবে। এক ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে ভোটদানের সময়, যাতে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যেতে পারে। ভোট দানের লাইনে থাকবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পদ্ধতি।
কমিশন জানিয়েছে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। রোড শোতে একসঙ্গে ৫টি গাড়ির কনভয় থাকতে পারে। সব ভোটকর্মীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে বাধ্যতামূলকভাবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ দুজন। বাড়ি গিয়ে প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে ৫ জনের বেশি থাকতে পারবেন না।
এদিন সুনীল অরোরা বলেন ভোটারদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ করোনা আবহে ভোট করানো (voting in Covid situation) চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। সংক্রমণ এড়াতে পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবার। বাংলায় বুথ বেড়েছে ৩১.৬৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৯১৬টি।
এর আগে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। এদিকে, নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ভোটের সময়ে রাজ্য সরকারই প্রাথমিক হিসেবে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। সাম্প্রতিক কলকাতা সফরের সময়ে কমিশনের ফুল বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য যা চেয়েছে, তত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী না-ও মিলতে পারে। প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একই সঙ্গে আরও চারটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে।