পাখির চোখ একুশের বিধানসভা ভোট। বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যেই অলআউট ঝাঁপাচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতা উড়ে আসছেন বাংলায়। রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টায় বিজেপি। আজ মালদহের গাজোলে পদ্ম শিবিরের হাইভোল্টেজ সভায় প্রধান বক্তা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিনের সভাতেই ঘটতে পারে দলবদল। পাকাপাকিভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।
বাংলা দখলের চেষ্টায় কোনও খামতি রাখতে নারাজ গেরুয়া শিবির। একুশের ভোট প্রেস্টিজ ফাইট। তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিই এবার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করবে বলে আশাবাদী মোদী-শাহ-নাড্ডারা। সেই লক্ষ্যেই শুধু দিল্লিতে বসে থেকে নয়, বঙ্গে এসেও দিলীপ, মুকুল, শুভেন্দুদের নির্বাচনী কৌশল বাতলে দিচ্ছেন মোদী-শাহরা। বিধানসভা ভোটের আগে এরাজ্যেই একের পর সরকারি অনুষ্ঠান করছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও দলের একাধিক সভাতেও প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকছেন মোদী।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার মালদহের গাজোলে বিজেপির নির্বাচনী জনসভা। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। ইতিমধ্যেই সেই সভা ঘিরে বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৎপরতা তুঙ্গে। সভাস্থল ভরানোর জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনার তোড়জোড় তুঙ্গে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের সভাতেই ফের একবার দলবদল হতে পারে। তৃণমূলের নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জোরদার জল্পনা ছড়িয়েছে।
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের সঙ্গে তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশের মনোমালিন্য চলছে বেশ কয়েকমাস ধরে। সম্প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপর থেকেই তৃণমূল-কৃষ্ণেন্দু দূরত্ব আরও খানিকটা বেড়ে যায়। কৃষ্ণেন্দুবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। শেষমেশ আজ যোগীর সভায় তাঁর পদ্ম শিবিরে নাম লেখানোর সম্ভাবনা প্রবল।
বঙ্গ ভোট এবার আট দফায়। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। ৩০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১ টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। ভোটের গণনা হবে ২ মে।