বছর ঘুরলেও কবে মিলবে করোনার থাবা থেকে মুক্তি তা এখনও অজানা। টিকা করণের কাজ শুরু হলেও এখনও অব্যাহত সংক্রমণের রেশ। আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ এবং তা যে আরও বেশি ভয়ংকর হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে নতুন করে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে তা রুখতে মহারাষ্ট্রে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জারি হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত নয়া গাইড লাইন। মহামারি রুখতে করোনা সংক্রান্ত এই বিধিনিষেধ গুলি সকলকে কঠোর মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা নয়া স্ট্রেন নিয়ে এমনিতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগ বেড়েছে। এর উপর মহারাষ্ট্র ও কেরলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এরই পাশাপাশি আরও কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। যা নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সংক্রমণে লাগাম টানতে ফের কড়াকড়ি করছে মহারাষ্ট্র সরকার। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন, জনতা কারফিউ জারি হয়েছে। করোার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সরকারি স্তর থেকে নিয়মিত সতর্কবার্তা দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। দক্ষিণের রাজ্য কেরলেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। একইভাবে সেখানেও বিধি-নিষেধ কঠোর করা হচ্ছে।
ফলে করোনার নয়া স্ট্রেন রুখতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রবাসীকে যে সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনে চলতে হবে তা হল,
১. আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সিনেমা এবং থিয়েটার হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাত্র ৫০ শতাংশ দর্শকে অনুমতি দেওয়া হবে। একসঙ্গে এর বেশি মানুষকে কোনও ভাবে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার এবং কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক।
২ সুইমিংপুল গুলি সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন বলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের থেকে জানানো হয়েছে।
৩ সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিনোদন অথবা শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও কোথাও ২০০ বা তার বেশি মানুষ জমায়েত হতে গেলে রাজ্য এবং কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।
৪ ব্যক্তি বা পণ্যের উপর আন্তঃরাষ্ট্রীয় এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহনে কোনও বিধিনিষেধ নেই। এই ধরনের চলাচলের জন্য কোনও পৃথক অনুমতি বা অনুমোদন বা ই-পারমিটের প্রয়োজন হবে না।
৫ এই সমস্ত নির্দেশিকা গুলি জারি থাকবে কনটেইন্টমেন্ট জোনের মধ্যে। সকল নাগরিকদের করোনা সংক্রান্ত এই বিধিনিষেধ গুলি কঠোর ভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এদিকে করোনার টিকাকরণ অভিযানে আরও এক ধাপ এগলো ভারত। সোমবার সকাল ৯টা থেকে কো-উইন অ্যাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণের জন্য নামের অর্ন্তভুক্তি শুরু। আজ থেকে ষাটোর্ধ্ব ও ৪৫ বছর বয়সীদের উপরের যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় পর্বের এই টিকাকরণের ক্ষেত্রে কীভাবে কো-উইন অ্যাপে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সেব্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।