জল যেমন জীবন ও আস্থা, তেমনই প্রগতির ধারা : প্রধানমন্ত্রী

জল সংরক্ষণের প্রতি আমাদের কী দায়িত্ব তা বুঝতে হবে। জল আমাদের কাছে যেমন জীবন ও আস্থা, তেমনই প্রগতির ধারাও বটে। রবিবার রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যেই বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক একটি অভিযানও চালাবে। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “শনিবার মাঘ পূর্ণিমার পর্ব ছিল। মাঘ মাস বিশেষত নদী, পুকুর এবং জলাশয়ের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। মাঘ মাসে কোনও পবিত্র জলাশয়ে স্নান করলে পবিত্র বলে মনে করা হয়। এবার হরিদ্বারে কুম্ভের আয়োজন হচ্ছে। জল আমাদের কাছে যেমন জীবন ও আস্থা, তেমনই প্রগতির ধারাও বটে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার প্রিয় দেশবাসী, যখনই মাঘ মাসের এবং এই মাসের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, একটি নাম ছাড়া এই আলোচনা সম্পূর্ণ হয় না। এই নাম হল সন্ত রবিদাসজি। মাঘ পূর্ণিমার দিনই সন্ত রবিদাসজির জয়ন্তী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নিজেদের স্বপ্নের জন্য আমরা অন্য কারও উপর নির্ভরশীল থাকব, তা মোটেও সঠিক নয়। যেটা যেমন চলছে, তেমনই চলতে থাকুক, রবিদাসজি কখনও এর পক্ষে ছিলেন না। আমি দেখতে পাচ্ছি বর্তমানের যুব সমাজও এই চিন্তাভাবনার পক্ষে মোটেও নন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জল সংরক্ষণের প্রতি আমাদের কী দায়িত্ব তা বুঝতে হবে। কিছু দিনের মধ্যেই বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য জলশক্তি মন্ত্রক একটি অভিযান চালাবে। এই অভিযানের স্লোগান হবে ‘যেখানেই পড়ুক, যখনই পড়ুক, বৃষ্টির জল ধরে রাখুন।”
২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। আজকের দিন ভারতের মহান বিজ্ঞানী ডক্টর সি ভি রমনের অনুসন্ধানের জন্য নিবেদিত। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করা উচিত আমাদের যুব সমাজের ও ভারতীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস বোঝা উচিত।” মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আত্মনির্ভর ভারতের প্রথম শর্ত হল-দেশীয় সামগ্রী নিয়ে গর্বিত হওয়া, নিজেদের দেশের নাগরিকদের দ্বারা তৈরি হওয়া সামগ্রী নিয়ে গর্ব প্রকাশ করা। যখন প্রতিটি দেশবাসী গর্ব করবে, প্রত্যেক দেশবাসী যুক্ত হবে, তখন আত্মনির্ভর ভারত শুধুমাত্র আর্থিক অভিযান নয়, ন্যাশনাল স্পিরিটে উন্নীত হবে।”ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী কয়েক মাস আপনাদের সকলের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের বেশিরভাগেরই পরীক্ষা হবে। আপনাদের সকলকে উদ্বিগ্ন নয়, যোদ্ধা হতে হবে। হাসতে হাসতে পরীক্ষায় যেতে হবে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পরীক্ষা পে চর্চা করব। মার্চ মাস থেকে শুরু হতে চলা ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ শুরু হওয়ার আগে সমস্ত পরীক্ষা যোদ্ধা, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে আমার অনুরোধ নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ আমাকে পাঠাবেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.