রাজ্য পুলিশ প্রশাসনে রদবদল করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমকে পাঠানো হল দমকল বিভাগে। তাঁকে দমকলের ডিজি করা হয়েছে৷ জাভেদ শামিমের জায়গায় আনা হয়েছে জগমোহনকে। তিনি এতদিন দমকলের ডিজির পদ সামলেছেন। শনিবারই কমিশনের তরফে বদলির এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে খবর। রাজ্য সরকারের তরফেও সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই নবান্নের তরফে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল পুলিশ কমিশনার থেকে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে বদলি করে নিয়ে আসা হয় জাভেদ শামিমকে। ফের বদলি করা হল জাভেদ শামিমকে। উল্লেখ্য, দমকল দফতরের ডিজি পদে থাকলে ভোটের কাজকর্মে কোনওভাবেই যুক্ত থাকতে পারবেন না জাভেদ শামিম।
এদিন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। অভিযোগ তোলা হয়েছে শহরের পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধেও। গত চারদিন ধরে কলকাতার নগরপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চাওয়া হলেও অনুমতি মিলছে না বলে এ দিন কমিশনে জানায় বিজেপি।
কমিশনের এই পদক্ষেপে বিজেপি-র হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায় ‘আমি আশ্চর্য। জাভেদ শামিম এবং জগমোহন দু’জনই রাজ্যের অন্যতম ভাল পুলিশ অফিসার। আজ বিজেপির প্রতিনিধিদল নির্বাচনী দফতরে গেল। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আমার মনে হচ্ছে এতে রাজনীতির ছোঁয়া আছে। যদি কমিশন কোনও দলের নির্দেশে এই পদক্ষেপ করে থাকে, তাহলে মানুষ ভরসা হারাবে।’
উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার কয়েকদিন আগেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে বদল ঘটানো হয়। অনুজ শর্মাকে সরিয়ে কলকাতার নগরপাল করা হয়েছে সৌমেন মিত্রকে। অনুজ শর্মাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এডিজি (সিআইডি) পদে। সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে এডিজি (সিআইডি) পদ থেকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) পদে। সৌমেন মিত্রের পুরনো পদ অর্থাৎ এডিজি (প্রশিক্ষণ)-এ স্থলাভিষিক্ত হন দেবাশিস রায়। তিনি এর আগে এডিজি (সশস্ত্র পুলিশ) পদে বহাল ছিলেন।