সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছেন ফের কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে মৎস্য মন্ত্রক তৈরি করবেন তাঁরা। সেই মন্তব্যের জবাবে কংগ্রেস ও রাহুলকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ২০১৯ সালে কেন্দ্রে মৎস্য মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সেটা জানেন না ভেবেই অবাক হচ্ছেন তিনি।
পুদুচেরিতে সভায় এদিন নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, “আমি অবাক হয়ে গিয়েছি যে এক কংগ্রেস নেতা এসে বলছেন ওরা মৎস্য মন্ত্রক তৈরি করতে চান, কারণ এরকম কোনও মন্ত্রক নেই। কিন্তু আসল সত্যি হল মৎস্য মন্ত্রক আছে। ২০১৯ সালে এনডিএ সরকার মৎস্য মন্ত্রক তৈরি করেছে।”
এদিন পুদুচেরিতে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। মোদী বলেন, “আমাদের ইংরেজ শাসকরা বিভাজন ও শাসনের নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। কংগ্রেসের পলিসি হল বিভাজন, মিথ্যা ও শাসন। কখনও কখনও ওদের নেতারা এলাকার বিরুদ্ধে এলাকা, ধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মের সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা করে।”
গত সপ্তাহে পুদুচেরি ও কেরল সফরে যান রাহুল গান্ধী। পুদুচেরিতে তিনি বলেন, মৎস্যজীবীদের ‘সমুদ্রের চাষি’ বলা যেতে পারে। তাই তাঁদের জন্য আলাদা একটা মন্ত্রক দরকার। এই মন্তব্যের পরেই কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রী গিরিরাজ সিং ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারপরেও কেরলে গিয়ে একই কথা বলেন রাহুল।
কেরলে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, “আমি এর আগে ১৫ বছর উত্তর ভারত থেকে সাংসদ ছিলাম। এখন আমি দক্ষিণ ভারত থেকে সাংসদ। আগে আমি অন্য ধরনের রাজনীতিতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন আমি দেখছি দক্ষিণের মানুষরা কোনও বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে জেনে তারপরে সেই বিষয়ে মন্তব্য করেন।” রাহুলের এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়েই মোদী বলেন যে কংগ্রেস নেতারা এলাকার সঙ্গে এলাকার বিভাজন তৈরি করে শাসন করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, এনডিএ সরকারের কাছে মানুষের গুরুত্ব সবথেকে বেশি। কে কোন এলাকা বা ধর্মের সেটা দেখে না এই সরকার।