বাংলার নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির জন্য সাধারণ মানুষের মতামত চায় বিজেপি (BJP)। সেই উদ্দেশেই ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচির সূচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। বৃহস্পতিবার কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি দপ্তর থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি।
আমজনতা কী চায়? সে বিষয়ে সরাসরি জনগণের কাছ থেকেই মতামত বা পরামর্শ নিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার থেকে ছুটে বেড়াবে ২৯৪টি ডিজিটাল মোবাইল ভ্যান বা এলইডি রথ। তাতে থাকবে ‘সাজেশনস ড্রপ বক্স’। যাতে নিবাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়ে থাকবে ৩০০টি ড্রপবক্সও। মতামত জানানো যাবে মিসড কল এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও। আমজনতার সেই পরামর্শ নিয়েই তৈরি হবে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার।
কর্মসূচির সূচনা করে নাড্ডা বলেন, “আজ বাংলা যা ভাবে, তা আগামী দিনে গোটা ভারত ভাবে। বাংলার মনীষীরা গোটা দেশকে পথ দেখায়। তাঁদের সেই চিন্তাভাবনাকে একত্র করে বিজেপি নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরি করতে চায়। আমরা মনে করি বাংলার মানুষ জানে, কীভাবে সোনার বাংলা বানাতে হবে। তাই আমাদের ইস্তেহারে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হবে। মোট ২ কোটি মানুষের মতামত আমরা নেব। সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই বাংলা এগিয়ে যাবে।”
সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে ইস্তেহার তৈরির কথা ঘোষণা করলেও, তাতে বড় কী কী ঘোষণা থাকতে চলেছে, সে বিষয়ে নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলে দিয়েছেন, “বিজেপি এলে রাজ্যে চালু হবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি। চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। কার্যকর করা হবে সপ্তম বেতন কমিশন।” নাড্ডা জানিয়েছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়া হবে। বাংলার গর্ব আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলার ইতিহাস গৌরবময়। বিজেপি সেই গৌরবময় ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে চায়। কীভাবে এখানকার কৃষিতে উন্নতি করতে হবে, কীভাবে শিল্পে উন্নতি করতে হবে, কীভাবে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করা হবে, সেসব নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের মতামত চাই। “