গ্রীষ্মকাল মানেই হরেক রকম ফলের সমাহার৷ আম, কাঁঠাল, লিচু কোনটা চাই সবই পাওয়া যায় এই গরমে৷ কাঁঠাল একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল৷ যা কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যায়৷ আবার পাকা অবস্থাতেও খাওয়া যায়৷ এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক৷ কাঁঠালের ৪-৫ কোয়া থেকে ১০০ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়৷
শিশু, কিশোর, কিশোরী এবং পূর্ণ বয়সী নারী-পুরুষ সব শ্রেণীর জন্যই কাঁঠাল খুবই উপকারী ফল৷ শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব দেখা দিলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়৷ শরীরের লাবণ্যতা হারিয়ে ফেলে এজন্য কাঁঠাল প্রতিরোধ করতে পারে৷ এছাড়া কাঁঠালের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এবং কিছুটা ‘বি’ আছে৷ পাকা কাঁঠাল যেমন উপকার রয়েছে, তেমনি কাঁচা কাঁঠালও কম উপকারী নয়৷ তবে জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের বাকি গুণাগুণ গুলি৷
১. কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে৷
২. কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম৷ এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম থাকে৷
৩. বদহজম রোধ করে কাঁঠাল৷
৪. কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে৷
৫. চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের খুবই কার্যকরী৷
৬. কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণ খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে৷
৭. কাঁঠালে ভিটামিন বি৬-এর উপস্থিতিতে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়৷
৮. গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়৷
৯. কাঁঠাল হাড়কে মজবুত করে৷ কাঁঠালে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে৷ আর ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনকে মজবুত করে এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগ যেমন অস্টিওপেরোসিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি প্রতিরোধ করে৷
১০. কাঁঠালে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট৷ যাতে রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক৷