প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই সিয়াচেনে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম সফর। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে পরুদর্শন করবেন তিনি।
পাক সীমান্তের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন রাজনাথ সিংহ। এই সফরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আর্মি প্রধান বিপিন রাওয়াত এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্যন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সিয়াচেনে রাজনাথ সিংহকে ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্যে আর্মি বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হবে। উত্তরের আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং, কার্গিল যুদ্ধের নায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওআইকে জোশী এবং ১৪ জন সেনা কমান্ডারও ওই অঞ্চলের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতি রাজনাথকে জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সেনা ওই এলাকায় একটি বাহিনী গঠন করেছে। কোনও কোনও আর্মি আউটপোস্ট ২৩,০০০ ফুটেরও উপরে অবস্থিত। ওই অঞ্চলে শ্বাস নেওয়াই প্রায় দুষ্কর। ইউপিএ-১-এর সময় ওই অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আর্মির পক্ষে ওখানে সেনা ছাউনি রেখে দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। ১৯৮৪ থেকে সিয়াচেন রয়েছে আর্মির দখলে। সেই সময় ‘অপারেশন মেঘদূত’-এর মাধ্যমে পর্বত অভিযাত্রীর মতো চুড়োয় পৌঁছে পাকিস্তানি আর্মির থেকে ওই এলাকার দখল করে নেয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিয়াচেন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিও পরিদর্শন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান। এরপর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাজনাথ সিংহ। এরপরই তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ডেকে বর্তমানের সব কর্মসূচির বিস্তৃত বিবরণ প্রস্তুত করতে বলেন।