বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ব্যারেজ এবং বাঁধ সংস্কারের কাজে রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এর ফলে কংসাবতী, মশানজোর, হিংলো, শিলাবতী নদী তিলপাড়া বাঁধ, ব্রাহ্মণী ব্যারাজ, কুলতোল ব্যারাজ সহ বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার জেলার যে সব বাঁধ অথবা ব্যারেজের বহুদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি সেগুলির কাজে হাত দেওয়া হবে।এমন উদ্যোগের ফলে চরম বর্ষণে ওইসব নদীগুলিতে যে বন্যা দেখা দেয় তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এমন উদ্যোগের ফলে পুরনো বাঁধ সংস্কার করে সেচের পরিধিও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন প্রকল্পের মাধ্যমে এরাজ্যে পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে রাজ্য এইসব বাঁধ এবং ব্যারেজগুলি কতটা সুরক্ষিত তা বুঝতে সেফটি অডিট করা হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে এইসব ৫০-৬০ বছরের পুরনো বাঁধগুলির সংস্কার করার দিকে নজর দেওয়া হয় এবং এমন কর্মসূচি আওতায় আনা হয়। এই কর্ম কান্ডে ৩৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে। যার ৭০ শতাংশ বিশ্ব ব্যাংক দেবে এবং বাকি ৩০ শতাংশ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
অবশ্য এর আগে ডিভিসি এলাকায় সেচ পথের সংস্কার করা হচ্ছে। বর্ষায় ডিভিসি জল ছাড়ায় এ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবিত হতে দেখা যায়। বন্যার ফলে তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ। এখন নদী এবং ক্যানাল সংস্কার করা হয়ে গেলে বর্ষার ওই জল সেই পথে বয়ে যাবে। ফলে বন্যার কবল থেকে এ রাজ্যের প্রায় ৪.৭ লক্ষ একর এলাকা বাঁচবে। এর ফলে প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং বিশ্বব্যাংক মিলে দেবে ৭০ শতাংশ টাকা। অন্যদিকে রাজ্যকে দিতে হবে ৩০ শতাংশ। ২০২০ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে এবং তা চলবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত।