ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে দেশে করোনার গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজারটি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৮৬ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছে ৫টি রাজ্য থেকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে।
মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এই রাজ্যে ৬ হাজার ৯৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই রয়েছে কেরল। এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০ জন। এছাড়া তমিলনাড়ু (৪৫২), কর্নাটক (৪১৩) ও পঞ্জাব (৩৪৮) রয়েছে সর্বাধিক আক্রান্তের তালিকায়। পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কেরল ও পঞ্জাব নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই রাজ্যগুলিতে হু হু করে বেড়েছে সংক্রমণ। এছাড়া ছত্তিশগড় ও মধ্য প্রদেশেও বাড়ছে করোনার গ্রাফ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৮৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭৮.৩১ শতাংশ রয়েছে ৫টি রাজ্যের মধ্যে। মহারাষ্ট্র (৩৫), কেরল (১৫), পঞ্জাব (৬), ছত্তিশগড় (৫) ও মধ্য প্রদেশ (৪)। মহারাষ্ট্রে এখন সপ্তাহের পজেটিভ মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (৮.১ শতাংশ)। এরপরই রয়েছে কেরল (৭.৯ শতাংশ)। মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ ৪.৭ শতাংশ থেকে ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৫ জন। যা পজিটিভ কেসের ১.৩৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে দেশের ৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও সংক্রমণের খবর আসেনি।
দেশের ৫টি রাজ্যকে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যত বেশি সম্ভভ RT-PCR পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ফলাফল নেতিবাচক এলেও RT-PCR করাতে হবে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিটি এলাকায় পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের আমরাবতীতে শুরু হয়েছে লকডাউন। করোনা বিধি না মানলে রাজ্যেও লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, অমরাবতী থেকে প্রায় এক হাজার সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি একেবারে তৈরি, কিন্তু সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি মাস্ক না পরে, তবে লকডাউন করতে হবে।