নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিনেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো রেখে বর্ধিত রুটের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, “পশ্চিমবঙ্গ আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম কেন্দ্র।” রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিনেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু করে এবং নিউ গাড়িয়া থেকে দক্ষিনেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো ভাড়া ২৫ টাকা অপরিবর্তিত রেখে জনমুখী ইমেজ তৈরী করলো বিজেপি।
সপ্তাহে রোজ কাজের দিনে দক্ষিণেশ্বের থেকে নিউ গড়িয়ার মধ্যে আপডাউনে মোট ৭৯ জোড়া ট্রেন চলবে বলে মেট্রো রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। নোয়াপাড়া দক্ষিণেশ্বের মেট্রোর পাশাপাশি হুগলির ডানলপ ময়দান থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন, কলাইকুন্ডা ও ঝাড়গ্রামের মধ্যে তৃতীয় লাইন , আজিমগঞ্জ ও খাগড়াঘাট রোড শাখার দ্বিতীয় লাইন, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে ডানকুনি ও বারুইপাড়ার মধ্যে চতুর্থ লাইন এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে রসুলপুর ও মগরার মধ্যে তৃতীয় লাইনের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন মেট্রো ও রেলের অন্যান্য প্রকল্প উদ্বোধন করে বলেন, “ভারতে যা উদ্বোধন হচ্ছে তাতে মেড ইন ইন্ডিয়ার ছাপ রয়েছে। এর সব কিছুতেই রয়েছে ভারতীয় প্রযুক্তির ছাপ আছে। পশ্চিমবঙ্গ আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম কেন্দ্র।”
এদিকে তৃণমূলনেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মেট্রো রেল ও অন্যান্য রেলের প্রকল্প উদ্বোধনে আমন্ত্রিত হলেও সেখানে যাননি। তৃণমূলের তরফে এদিনের প্রধানমন্ত্রীর তাহা দিয়ে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিনেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা উদ্বোধনের সমালোচনা করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী তখন নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেল প্রকল্পের পরিকল্পনা করে যান। এতো দিন ইচ্ছা করে এই প্রকল্পকে আটকে রেখে ভোটের মুখে এই প্রকল্প উদ্বোধন করে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে।
তবে এদিন মেট্রো ও সাধারণ রেলের প্রকল্প উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন উন্নয়নের নিরিখে বাংলাকে কেন্দ্র গুরুত্ব দেবে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এসে বেকার যুবকদের চাকরি দেবে, কৃষকের উন্নতি হবে, বাংলা তার পূর্বের সংস্কৃতি ও গৌরব ফিরে পাবে, বাংলা সোনার বাংলা হবে।সভা মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী এদিন আর নয় অন্যায় স্লোগান দেন।