ফের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁচরাপাড়া৷ শুরু হয় বিক্ষোভ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একদিকে পুলিশি লাঠিচার্জ যেমন চলেছে, তেমনই নেমেছে ব়্যাফও৷ সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবারের কাঁচরাপাড়ার ছবিটা অন্যরকম৷
জানা গিয়েছে, শনিবার একানে তৃণমূলের দলীয় বৈঠক ছিল৷ সেই বৈঠকে যোগ দিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু থেকে শুরু আরও অনেকের আসার কথা ছিল৷ তৃণমূল নেতাদের দেখে তাদের সামনেই বিজেপি সমর্থকরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করে৷ দেখতে দেখতে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হতে শুরু করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে বলে জানা যায়৷ সেই সঙ্গে আসে ব়্যাফও৷ একদিকে বৈঠক, অন্যদিকে এই বিক্ষোভ৷ সব মিলিয়ে কাঁচরাপাড়ায় উত্তপ্ত৷
ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ দোকানপাট বন্ধ করে দেন বিক্রেতারা৷ এদিকে ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সাংবাদিকদের সম্মুখীন হন৷ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই সংস্কৃতি এই রাজ্যের নয়৷ যারা করছে তারা করছে৷ এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আছে, থাকবে৷ যারা দখলদারির রাজনীতি করছে তাদের মনে রাখতে হবে, মানুষ এই রাজনীতি পছন্দ করে না৷’
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই জয় শ্রীরাম স্লোগানে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ দিন দুয়েক আগেই, ভাটপাড়ায় মমতার গাড়ির সামনে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান ওঠে। আর তা শুনেই মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি গাড়ি থেকে নেমে রীতিমত সাধারণ মানুষের দিকে ধেয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘কি সাহস। গালাগালি দিচ্ছে ওরা…।’ গুন্ডামি, মস্তানি হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মমতা। এরপরেই সমস্ত বাড়িতে নাকা চেকিং চালানোর জন্যে পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রশাসনিক প্রধান।
এর আগে, ভোটের মরশুমে মেদিনীপুরে ভোট প্রচারে যাওয়ার সময় একইভাবে তাঁকে দেখে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয় একদল যুবক। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এই ভাটপাড়ায়। ৩০ মে নৈহাটিতে সভা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর জন্যে নৈহাটির ধর্না মঞ্চে যোগ দেন মমতা। আর সেখানে যাওয়ার সময় ভাটপাড়ার একটি জুটমিলের সামনে কিছুটা গাড়ির গতি কিছুটা স্লথ হয়। আর তা হতেই বেশ কিছু যুবক তাঁকে দেখেই ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেন। আর তা শুনেই মেজাজ হারান মমতা।