সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ফের একবার দিল্লির মসনদে নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বারের জন্যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইতিমধ্যে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সরকার গঠনের প্রথমদিনই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল মোদী। বিশেষ করে কৃষকদের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২ একর পর্যন্ত জমি থাকা প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বছরে ৬ হাজার টাকা করে যে উৎপাদন সহায়তা গত বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল সেই প্রকল্প আর সীমিত সংখ্যক কৃষকদের মধ্যে আবদ্ধ রইল না। দেশের সব কৃষকের জন্যই ওই প্রকল্প কার্যকর করা হচ্ছে। আর এই জন্যে ইতিমধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
শুধু কৃষকদের জন্যেই নয়, এবার দেশের জন্য আত্মবলিদান করা সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের স্ত্রী এবং সন্তানদের বৃত্তি ও সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা গঠনের পরেই শুক্রবারই ক্যাবিনেট বৈঠকের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে যে ফাইলে স্বাক্ষর করলেন সেটি হল এই বৃত্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত।
ন্যাশনাল ডিফেন্স তহবিলের মাধ্যমে এই বৃত্তি প্রদান করা হতো শুধুই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সামরিক জওয়ানদের সন্তানদের। এবার রাজ্য পুলিশের জন্যও সেই সুবিধা প্রদান করা হবে। ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এই বৃত্তি অনুযায়ী পুত্রসন্তানদের দেওয়া হবে ২৫০০ টাকা। আর কন্যাসন্তানদের ২৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে কৃষক সমস্যা বেশ প্যাঁচে ফেলেছিল মোদী সরকার। একাধিক ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত গর্জে উঠেছিল। এই অবস্থা কাটিয়ে ফের দিল্লির মসনদে দ্বিতীয়বারের জন্যে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাই এবার প্রথমদিনেই একদিকে কৃষকদের মন পাওয়ার চেষ্টা মোদী সরকারের। অন্যদিকে দেশের সামরিক এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মন পেতেও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী।
শুক্রবার মন্ত্রিসভা গঠনের পরেই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকের ডাক দেন নরেন্দ্র মোদী। এই মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিকমহলের মতে, প্রথমদিন থেকে এবার বিরোধীদের কোনও সুযোগই ছাড়তে নারাজ বিজেপি সরকার। আর সেজন্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন নরেন্দ্র মোদীর।