লোকসভা ভোটে হারের জেরে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাংগঠনিক রদবদল করলে তৃণমূল সুপ্রিমো।
শনিবার কালীঘাটের বাসভবনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে পড়েন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উত্তরবঙ্গ সহ হুগলি ও বর্ধমান জেলায় তাঁর দায়িত্বে থাকা আসনগুলির বেশিরভাগই জিতে নিয়েছে বিজেপি। অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী তাঁর উদ্দেশ্যে বলেন,“তোর অনেক গুলো জেলার দায়িত্ব ছিল। আমি আগেই বলেছিলাম ভাল করে কাজ কর। শুনিস নি। ওই যাদবপুর আর বর্ধমানের একটা আসন ছাড়া কী করলি! পুরো তো ফেল করে গেলি। কাজটা ভাল করে কর এবার।” অন্যদিকে, পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে মালদহের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে। কমানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্বও, তাঁর বদলে নদিয়ার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
বৃহস্পতিবার নৈহাটির ধরনা মঞ্চ থেকেও এই সংগঠনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ঘোষণা করেন, আরএসএসের মোকাবিলায় ‘জয় হিন্দ বাহিনী’ এবং মহিলাদের সংগঠন ‘বঙ্গজননী’ তৈরি করবে তৃণমূল৷
হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুলকে সভাপতি রেখে সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি৷ জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি ও আহ্বায়ক হলেন মুখ্যমন্ত্রীর দুই ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে ব্রাত্য বসুকে। ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন৷ ‘বঙ্গজননী’ সংগঠনের চেয়ারম্যান করেন কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে৷
এছাড়া আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ উমা সোরেন ও সাংসদ সুনীল মন্ডলকে৷