তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য দল থেকে আসা এক ডজনেরও বেশি বিজেপি নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভিআইপি সুরক্ষা দেওয়া হল। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তারা। তবে এই নেতানেত্রীরা প্রত্যেকেই নিচু স্তরের কেন্দ্রীয় ভিআইপি সুরক্ষা পেয়েছেন। কয়েকজনকে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াই’ বিভাগের ভিআইপি নিরাপত্তা, বাকিরা পেয়েছেন ‘এক্স’ ক্যাটেগরির।
এদিন বাংলার যে নেতানেত্রীরা কেন্দ্রীয় সুরক্ষা পেলেন, তাঁরা হলেন – বালির তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ক্রিকেট প্রশাসকের জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালী ডালমিয়া, সিপিএম থেকে বিজেপি-তে যোগ তমলুকের বিধায়ক অশোক দিন্দা, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মন্ডল, কংগ্রেস থেকে বিজেপি-তে আসা পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাঁথি উত্তর আসনের বিধায়ক বাঁশরি মাইতি, গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস, মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা, বারাকপুরের বিধায়ক শিলভদ্র দত্ত এবং কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু৷
সূত্রের খবর, এই নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বিজেপির অন্দরেও৷ রাজ্য বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কটাক্ষ, ‘আমাদের দলটা বোধহয় সিকিউরিটি এজেন্সির কাজ নিয়েছে। যাঁদের পাড়ার কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা নেই, তাঁরাই দেখছি বিজেপিতে এসে আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ঘুরছেন। বিচিত্র ব্যাপার।’
তবে দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া এই প্রথম নয়৷ এর আগে তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার বিজেপিতে নাম লেখানোর দু’দিনের মাথায় তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়ে হয়েছিল৷ পরে জানা গিয়েছিল, রাজ্য বিজেপির কয়েক জন নেতা এই বিষয়ে তাঁদের ক্ষোভের কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। শঙ্কুর জন্য এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো ভাবে নেননি স্বয়ং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সরাসরি সে কথা স্বীকার না করলেও এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘এই বিষয় আমার কিছু জানা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের মনে হয়েছে, ওঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন, তাই দিয়েছে। আমি কোনও সুপারিশ শঙ্কুদেবের জন্য করিনি।’