টুইটারের​ পর এসেছিল কো, আর এখন হোয়াটসঅ্যাপের পর সন্দেশ! আত্মনির্ভর ভারতে হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দেওয়ার জন্য তৈরী সন্দেশ

নয়াদিল্লি, ১৯শে ফেব্রুয়ারি: তথ্য এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য ভারত সরকার গত বৃহস্পতিবার “সন্দেশ” নামক একটি তাৎক্ষণিক​ বার্তা প্রেরণের পরিষেবা চালু করল যা হোয়াটসঅ্যাপের থেকে অনেক বেশী উন্নত। সরকারের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় এই অ্যাপ্লিকেশনটি জাতীয় তথ্য কেন্দ্র (এনআইসি) তৈরি করেছে। তাৎক্ষণিক বার্তা পাঠানোর​ এই বিশেষ অ্যাপটি সরকারের তাৎক্ষণিক বার্তাপ্রেরণ সিস্টেমের (জিআইএমএস) আওতায় রয়েছে। অ‍্যাপটি যেকোন সরকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও ব্যবহার করতে পারবেন।

হিন্দিতে “সন্দেশ”– শব্দটির অর্থ হ’ল বার্তা। এই অ‍্যাপটির মূল কারিগর হলেন জিআইএমএস-এর অধীনে থাকা জাতীয় তথ্য কেন্দ্র (এনআইসি)। ভারতের এইরকম একটি সম্পূর্ণ নিজস্ব, স্বতন্ত্র তাৎক্ষণিক বার্তা পাঠানোর মাধ‍্যমের প্রয়োজন অনেক দিন আগের থেকেই ছিল। হোয়াটসঅ্যাপ বিতর্কের​ পর সাধারণ মানুষের জন্য ভারত সরকারের এই অভিনব উদ্যোগ সত‍্যিই প্রসংশনীয়।

সন্দেশ হ’ল মূলত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপকে দেওয়া এক মোক্ষম জবাব। এই হোয়াটসঅ্যাপ কিছু দিন আগেই ব‍্যবহারকারীদের তথ‍্যের গোপনীয়তার​ বিষয়ে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিল। অন‍্যদিকে, শুরুর দিন থেকেই সন্দেশ দাবি করেছে যে ব‍্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং কথোপকথনগুলি “এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড​” থাকবে এবং ব্যবহারকারীদের​ বার্তার​ গোপনীয়তা সবদিক থেকে রক্ষা করা হবে।

সন্দেশ অ‍্যাপের মধ্যে ব‍্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ,টেলিগ্রাম-এ ব‍্যবহৃত সবরকম ফিচারগুলোই পাবেন তাই তাদের নতুন ফিচারের সাথে অভ‍্যস্ত হওয়ার বিড়ম্বনায় মুখে পড়তে হবে না। এই অ‍্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধুদের সাথে, পরিবারের সাথে কথা বলার পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, জিআইএফ এবং এইরকম আরও অনেককিছু একে অপরের সাথে ভাগ করে নিতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও এই অ্যাপটি হ’ল ডিজি-লকারের অংশভুক্ত‌। যারফলে সন্দেশে পাঠানো সমস্ত রকম পিডিএফ ফাইল সংরক্ষিত থাকবে।

সন্দেশ-র ব‍্যাপারে ভারত সরকার জানিয়েছেন যে, এই অ‍্যাপ ব‍্যবহারকারীদের ব‍্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তার পাশাপাশি এই অ‍্যাপটি ব‍্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে সারা বিশ্বের হ‍্যাকারদের দিকে একটা চ‍্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বলা যেতে পারে। মজার বিষয় হ’ল যে, সন্দেশের একটি নিজস্ব অ্যাডমিন পোর্টাল রয়েছে যা পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে​ রয়েছেন স্বয়ং এনআইসি। বর্তমানে, অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে একসাথে ৫০ জন সদস্যের​ নন-অফিসিয়াল গ্ৰুপ, ১০০ জন সদস্যের​ অফিসিয়াল গ্ৰুপ এবং ১০ টি কনটাক্টস্ সাপোর্ট করবে‌।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.