গোটা দেশে এই মুহূর্তে অগ্নিমূল্য পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাস। এর প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে৷ জ্বালানীর দাম আরও বাড়লে আগামী দিনগুলি সাধারণ মানুষের জন্য আরও উদ্বেগের হতে পারে বলে মনে করছেন সবজি ও মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা৷
টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম রোজ যেভাবে বাড়ছে, তাতে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে৷ রাজ্যের মধ্যেই এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে দু-হাজার টাকা করে বেশি নিচ্ছে গাড়িগুলি৷ ফলে এবার বাংলায় ভাল ফসল উৎপাদিত হলেও সেটা চড়া দামে সাধারণ মানুষকে কিনতে হচ্ছে৷ তিনি বলেন, নাসিকে পেঁয়াজ যেখানে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তখন এখানে পাইকারি বাজারেই পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ খুচরো বাজারে ৪৫-৫০ টাকায়৷ জ্বালানীর দামবৃদ্ধির জন্য খুচরো বাজারে পেঁয়াজের এক দাম৷
কমল দে আরও জানান, লোকসানের হচ্ছে বলে অনেক জেলা থেকে পণ্যবাহী গাড়িগুলি কলকাতায় আসতে চাইছে না৷ ফলে জ্বালানীর দাম যদি আরও বাড়ে তাহলে জোগানে ঘাটতি হতে পারে৷
একই মত হাওড়া ফিস মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা সৈয়দ আনওয়ারেরও৷ তিনি বলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য রাজ্য থেকে এরাজ্যে মাছের গাড়ি ঠিকমতো আসছেনা৷ এদিকে, বাজারে চাহিদা রয়েছে৷ তেলের দাম আরও বাড়লে জোগানে টান পড়তে পারে৷ তিনি জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মাছের দাম প্রায় ১৫ শতাংশের মতো বেড়েছে৷
টানা ১১ দিন ধরে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সাধারণ গ্রাহকের। পেট্রোপণ্যের দাম ভারতে সর্বকালীন রেকর্ড ছোঁয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আরও বাড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতেও এদিন পেট্রোল ৯০ এর গণ্ডি পার করে ফেলেছে। রাজধানীতে লিটার প্রতি তেলে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৩১ পয়সা। যার জেরে সেখানে পেট্রোলের দাম ৯০ টাকা ২৩ পয়সা প্রতি লিটার। ডিজেলে বেড়েছে লিটারে ৩৩ পয়সা। দাম হয়েছে ৮০ টাকা ৬৪ পয়সা। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। অন্যদিকে রান্নার গ্যাসের দাম ৮০০ ছোঁয়ার পথে।
বলে রাখি, সবজির দামের মধ্যে আদা (৫০ টাকা প্রতিকিলো), লঙ্কা (৮০-১০০ টাকা প্রতিকিলো) ঢেঁড়স – (১০০ টাকা প্রতিকিলো) চড়া দামে বিকোচ্ছে৷