শনিবার বিকেলে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, লেফটেন্যান্ট গভর্নররা। দিল্লিতে এই বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। তবে শনিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন না বলে জানা গিয়েছে।
শেষবার কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী পালনের উৎসবে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মোদী-মমতাকে। শনিবার দিল্লিতে আয়োজিত হচ্ছে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আমন্ত্রিত। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে এটি আর হচ্ছে না। শনিবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এবারই প্রথম নীতি আয়োগের বৈঠকে লাদাখ প্রতিনিধিত্ব করবে।
বাংলায় বিধানসভা ভোট শিয়রে। রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই চড়ছে। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী পালনের উৎসবে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মোদী-মমতাকে। সেদিন ভিক্টোরিয়ার আপাতমস্তক সেই সরকারি অনুষ্ঠানেও রাজনীতির রং লেগেছিল। মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে উঠতেই জয় শ্রী রাম স্লোগান ওঠে।
ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চেই তাঁর ক্ষোভের কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কোনও বক্তৃতা না দিয়েই মঞ্চ ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তবে জয় শ্রী রাম স্লোগানে তিনি যে অপমানিথ বোধ করেছেন প্রকাশ্যে সেকথা জানাতে ভোলেননি মমতা। সেই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের তরফে সেদিনের সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী নিজে এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
২৩ জানুয়ারির পর শনিবার আবার মোদী-মমতার মুখোমুখি হওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা ছিল। শনিবার বিকেলে দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সহ্গে বৈঠকে থাকবেন অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই বৈঠকে হাজির থাকবেন না বলেই জানা গিয়েছে।