আইএসএলে কলকাতা ডার্বির ফিরতি লেগের প্রথমার্ধ শেষ হল ১-১ অবস্থায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফিজি স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণার গোলে এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে গেলেও ৪১ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকে সবুজ-মেরুন ম্যাচে আধিপত্য দেখালেও প্রথমার্ধের শেষবেলায় হঠাতই জ্বলে ওঠে লাল-হলুদ।
ফতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচের শুরুটা যেভাবে করে এটিকে মোহনবাগান, তাতে মনে হচ্ছিল হোমওয়ার্কটা দুরন্ত করেই ডার্বিতে নেমেছেন হাবাস। এটিকে মোহনবাগানের বিচক্ষণ স্প্যানিশ কোচের ধুরন্ধর ফুটবলীয় মস্তিষ্কে তখন পিছু হটছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকে এদিন বামপ্রান্তিক আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের লকগেট খোলার চেষ্টা করে বাগান। সাত মিনিটে গোলের খুব কাছে পৌঁছেও যায় তারা।
শুভাশিস বোসের বামপ্রান্তিক ক্রস থেকে গোলের সামনে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন মনবীর। নইলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত হাবাসের দল। তবে গোল পেতে বিশেষ সময় ব্যয় করতে হয়নি লিগ টপারদের। ১৫ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ডিফেন্ডার তিরির লম্বা বাড়ানো বল জমা পড়ে রয় কৃষ্ণার আস্তানায়। বিপক্ষের দুই ফুটবলারকে কাঁধে নিয়ে সুব্রত পালকে পরাস্ত করে বল তেকাঠিতে প্রবেশ করান ফিজি স্ট্রাইকার।
গোলের পরও ম্যাচে যথেষ্ট দাপট রেখেই ফুটবল খেলছিল হাবাসের দল। কৃষ্ণা-মার্সেলিনহো-মনবীর ত্রিফলায় তখন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক বাগান। তুলনায় ঝিঙ্গান-তিরিদের ঘেরাটোপে অনেকটা নিষ্প্রভ লাল-হলুদের নয়নের মনি ব্রাইট এনোবাখারে। সেই অর্থে নাইজিরিয়ানকে প্রথমার্ধে বল ধরার সুযোগ দেয়নি সবুজ-মেরুন ডিফেন্স।
তবে ডিফেন্ডার রাজু গায়কোয়াড়ের থ্রো সমস্যার সৃষ্টি করছিল বাগান ডিফেন্সে। আর সেই থ্রো-ই প্রথমার্ধের শেষদিকে বিপদ ডেকে আনে এটিকে-মোহনবাগানের জন্য। ৪১ মিনিটে রাজুর থ্রো বাগান রক্ষণে পৌঁছলে এরিয়াল বল ক্লিয়ার করতে উদ্যত হন তিরি-ঝিঙ্গান। কিন্তু স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের ড্রপ হেডার ক্লিয়ার না হয়ে গোলরক্ষক অরিন্দমকে পরাস্ত করে গোলে ঢুকে যায়। গোলের নেপথ্য নায়ক তিরিই গোল হজম করার ক্ষেত্রে খলনায়ক বনে যান। এখন অপেক্ষা দ্বিতীয়ার্ধের।