ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী স্বাতী মোহনের কৃতিত্বে মঙ্গল অভিযানে ইতিহাস সৃষ্টি করল NASA

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গলের মাটিতে সফল ভাবে ল্যান্ড করেছে। প্রায় ৭ মাস পূর্বে এই রোভার পৃথিবীথেকে লঞ্চ হয়েছিল। NASA-র এই সফলতার পিছনে ভারতীয় বংশদ্ভুত বিজ্ঞানী ডঃ স্বাতী মোহনের বড়সড় কৃতিত্ব রয়েছে। NASA-র মতে, এই রোভার বৃহস্পতিবার-শুক্রবার রাতে মঙ্গলের সবথেকে বিপজ্জনক এলাকা জেজেরো ক্রেটারে ল্যান্ড করে। এই অঞ্চলে এক সময় জল পাওয়া গিয়েছিল।

নাসা দাবি করে, ইতিহাসে এই প্রথম মঙ্গলের মাটিতে কোনও রোভার এত সটীক ভাবে ল্যান্ড করল। রোভার লাল গ্রহে অবতরণ করার পরই আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রথম ছবি জারি করে। ছয় চাকার এই রোভার লাল গ্রহের তথ্য সংগ্রহ করবে আর মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। সেই নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে যে, নাসায় প্রাণের সঞ্চার ছিল কি না।

পারসিভিয়ারেন্স নাসার চতুর্থ জেনারেশনের রোভার। এর আগে পাথফাইন্ডার অভিযানের জন্য সোজোনারকে ১৯৯৭ সালে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালে স্পিরিট আর অপর্চুনিটিকে পাঠানো হয়েছিল। ২০১২ সালে কিউরিসিটি মঙ্গলে অবতরণ করেছিল। নাসার মতে, পারসিভিয়ারেন্স রোভারের ওজন ১ হাজার কেজি এটি পারমাণবিক শক্তিতে চলে। প্রথমবার কোনও রোভারে প্লুটোনিয়ামকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহে ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করবে। এই রোভারে ৭ ফুটের রোবটিক হাত আছে। ২৩ টি ক্যামেরা আর একটি ড্রিল ম্যাশিন আছে। বলে রাখি, পারসিভিয়ারেন্স রোভারের লাল গ্রহে অবতরণ করার প্রক্রিয়া অনেক মুশকিলের ছিল। ১২ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টার গতিতে এই রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছিল। সেই সময় ঘর্ষণের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে রোভারটিতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এত সমস্যার পরেও রোভারটি মঙ্গলের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.