এক বিজেপি কর্মীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুরে। অপহৃত বিজেপি কর্মীর নাম রিজন পাল (২৩ )।
সূত্রের খবর, শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পাল পাড়ার বাসিন্দা পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী রিজন পাল লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য ভোটের সময় স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
শুক্রবার ভোরে চাকদহ হাটে কাপড় বিক্রীর জন্য যাওয়ার কথা ছিল রিজনের। পরিবারের অভিযোগ, ভোরে রিজনকে ঘুম থেকে ডেকে দিতে উঠে তার বাবা দেখেন ঘরে নেই সে। এর পর বাড়ির বাইরে দেখতে গিয়ে তিনি দেখতে পান তাঁর চটি পড়ে আছে। বাড়ির কাছেই ঝোপের ভিতর থেকে রিজনের মোবাইল উদ্ধার হয়।
রিজনের পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফুলিয়া পাল পাড়া এলাকায়। ঘটনায় শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রিজনের পরিবার।
ঘটনায় বিজেপি এর তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, বিকেলের মধ্যে রিজনকে খুঁজে না পাওয়া গেলে পথ অবরোধ করা হবে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
এব্যাপারে অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কর্মী উদয় পাল এবং আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত উদয় পাল জানান, আমরা এই ধরণের রাজনীতি করি না। যার যা খুশি সে দল করবে। আমাদের তাতে কি? আমি একা শাসকদলকে জেতাতে পারব না। আমরা রাজনীতির লোক নই।
রিজনের মা বিজলি পাল জানান, ভোটের আগে শাসকদল তৃণমূলের দশ বারোজন আমার বাড়িতে এসে রিজনকে শাসিয়ে গিয়েছিল। পাড়ার তৃণমুলের কর্মি মদন বলেছিল রিজন তুই তো আমার সাথে থাকতিস তুই কেন ঐ দলে গেছিস? রিজন বলেছিল সব ছেলেরা বিজেপি করছে আমি কেন তোদের দলে থাকব? আমি এখানে থাকব। সেইসময় ওরা ভোটের পর দেখে নেবার হুমকি দিয়েছিল।
তৃণমূলের সদস্য অনুপ ঘোষ বলেন, আমরা যেহেতু তৃণমূল করি সেকারণে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। ভোটের প্রচারের দিন ভোট চাইতে আমরা ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। ওর বাবাতো সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকে। সকালবেলা হাঁটে যায় আমাদের সঙ্গে দেখা করে। কে হুমকি দিয়েছে আমাদের জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।