শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এই বক্তৃতা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। খুব সম্ভববত সকাল ১১ টায় বক্তৃতা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অর্থাৎ পিএমও-এর তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, সঞ্জয় ধোত্রেও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এদিনের অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৫৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী ডিগ্রি পাবেন।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ওই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। যদিও এ সম্পর্কে নবান্নের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ এর ডিসেম্বর মাসে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেও ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রেখেছিলেন মোদী। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘না পেয়েছি চিঠি, না পেয়েছি ফোন’। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল কোনও আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়নি। কিন্তু বিশ্বভারতী জানায় আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অনুষ্ঠানে হাজির না থাকায়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যের অপমান করেছেন মমতা’ বলে অভিযোগ করতে থাকে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা ভোটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বাঙালি ও বাঙালি মনীষীরা। এমনকি কেন্দ্রের বিজেপি নেতারাও যখন বাংলায় আসছেন তখন বাঙালি মনীষীদের কথা উঠে আসছে। আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছেন কবিগুরুও। খোদ মোদীর মুখে শোনা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথের কথা। ভোটও ক্রমে এগিয়ে আসছে, এমতাবস্থায় আগামীকাল সমাবর্তনে মোদী কী বলেন সেটার দিকে নজর রয়েছে অনেকেরই।