কালনায় এক বৃদ্ধা ডাক্তারের দাবিমতো পারিশ্রমিক দিতে না পারায় জ্যোতিময় দাস নামের এক ডাক্তার বৃদ্ধার প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে তা কেটে দেন। সেই বৃদ্ধা সময় মতো ওষুধ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা এই চিকিৎসকের শাস্তির দাবি করেছেন। স্থানীয়রা তার চেম্বারের সামনে বিক্ষোভও দেখান। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে জ্যোতির্ময় দাস আপাতত বেপাত্তা। জেলা পরিষদ এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রশাসন এমন আচরনের জন্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছে।
বৃদ্ধার নাম মালতি দেবনাথ। তিনি কালনায় নান্দাই গ্রামের বাসিন্দা। ওই বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে সে মুম্বাই কাজ করেন। তিনি তার পুত্রবধু ও নাতিকে নিয়ে খুব কষ্টের সংসার চালাচ্ছিলেন। মালতি দেবী বেশ কিছুদিন ধরে মাথা ও ঘাড়ের যন্ত্রণা ভুগছিলেন। মালতি দেবী গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওই চিকিৎসাধীন কাছে যান। তখন তিনি চিকিৎসকের ফি মিটিয়ে দিয়েছিলেন। চিকিৎসক তাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বলে। তিনি চিকিৎসকের কথামতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার। এরপর তার এক প্রতিবেশী রিপোর্ট দেখাতে জ্যোতির্ময় দাসের চেম্বারে যান। চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে জানতে পারেন মালতিদেবীর প্রতিবেশী তার পারিশ্রমিকের টাকা আনেনি। এরপর তিনি প্রেসক্রিপশন এর লেখা ওষুধ কেটে দেন বলে অভিযোগ।
ডাক্তাররা নাকি ঈশ্বরের রূপ! কিন্তু ঈশ্বর কি এতটা অমানবিক হতে পারেন! স্রেফ সামান্য ক’টা টাকার জন্য রোগীকে ঠেলে দিতে পারেন মৃত্যুর মুখে! সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন মায়ের বয়সী বৃদ্ধাকে!