ভোটের মুখে জল্পনা বাড়ালেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ও বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নিতে চাই। দলনেত্রীকে বলেছি, এবার আমায় অব্যাহতি দিন। আমি নিজের জগতে ফিরে যেতে চাই।’
সামনেই চলে এসেছে ২০২১-এর বিধানসভা ভোট। কিন্তু তাতেও তাঁকে একেবারেই ভোটের ময়দানে দেখা যাচ্ছে না। চিরঞ্জিতের দাবি, ‘আমি প্রথম থেকেই রাজনীতির বাইরের লোক। আমি সিনেমা-টিনেমা করি। রাজনীতি আমার কাপ অফ টি নয়। সেটা প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম। কিন্তু ২০১১-র সেই সময় ১৪৮টি সিটের দরকার ছিল সরকার গঠনের জন্য। তখন তিনিই জোর করে আমাকে দাঁড়াতে বলেছিলেন।’
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই অব্যাহতির কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন চিরঞ্জিৎ। তাঁর দাবি, ‘২০১৬-তে বলেছিলাম এখন তো অনেক সিট পেয়ে গিয়েছেন। এবার আমাকে ছেড়ে দিন। এখন আর আমাকে লাগবে না আপনার। কিন্তু সেই সময়ও তিনি ছাড়েননি আমাকে।’ এবারও ঠিক একই পরিস্থিতি বলেই মনে করছেন চিরঞ্জিৎ। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে মমতা এখনও তা নিয়ে কোনও প্রত্যুত্তর দেননি তিনি।
টলিপাড়ায় আপাতত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। প্রথাগত এবং পেশাগত রাজনীতিকদের চেয়ে তারকাদের নিয়েই মাতামাতি বেশি তৃণমূল এবং বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে আচমকাই রাজনীতি ছাড়তে কেন চাইছেন চিরঞ্জিৎ? অভিনেতার দাবি, ‘এখন অনেক বয়স হয়েছে। এবার নিজের পছন্দের কাজ করতে চাই। ছবি আঁক, সিনেমা করব।’ তবে কি তিনিও বিজেপিতে যোগদানের কোনও ইঙ্গিত রাখছেন তাঁর পদক্ষেপে? যদিও এ প্রসঙ্গে একেবারেই জল্পনা উড়িয়েছেন অভিনেতা। বিজেপিতে যোগদানের কোনও প্রশ্নই নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা যে যে দলে যোগ দিচ্ছেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। সেটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি শুধু বলতে চাইছি যে, আমি আর ভোটে লড়তে চাইছি না। সেটা জানিয়েই দলনেত্রীর কাছে অব্যাহতি চেয়েছি। এখন দেখা যাক, উনি কী বলেন।’