অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ২০১৯ এ শিলমোহর দিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ এর আগস্ট মাসের ৫ তারিখ অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন শিলন্যাসও করেছিলেন তিনি। এরপরই অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায়। এরপর ১৫ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য নিধি সমর্পণ অভিযান শুরু হয়। সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৫ লক্ষ টাকা দান করেন।
গোটা দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি চাঁদা উঠেছে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য। আরেকদিকে, সবাইকে অবাক করে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য রেকর্ড পরিমাণ দান উঠেছে বাংলা থেকেও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বাংলা থেকে ৫০ কোটি টাকা দান উঠেছে এরাজ্য থেকে। বাংলার অনেকেই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেছেন। অনেকেই আবার ১ কোটি অথবা তাঁর থেকেও বেশি দান করেছেন। তবে কে বা কারা এত দান করেছেন, তাঁদের নাম বলতে চায়নি VHP।
আর কয়েকদিনের মধ্যে বাংলায় নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে যাবে। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব দলই। আর এরমধ্যে বাংলা থেকে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য এত দান যেমন ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে, তেমনই বেশ উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। বাংলার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা এরাজ্য থেকে ৬০ কোটি টাকারও বেশি দান সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে দানের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ।
শচীন্দ্রনাথ সিংহ জানান, অয্যোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের মন্দির নির্মাণের জন্য গোটা বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছেছি আমরা। এখনও অনেক জায়গায় পৌঁছান বাকি আছে। আগামী দিনে সেখানেও যাওয়া হবে আর রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বাংলা থেকে অর্থসংগ্রহের লক্ষ্য আরও বাড়বে। তিনি জানান, আমাদের এই অভিযানে রাজ্যের অন্যান্য হিন্দু সংগঠন এবং সাধু-সন্তরাও যোগ দিয়েছিলেন।
শচীন্দ্রনাথ সিংহ জানান, আমরা বাংলার ৫০ লক্ষ পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। তাঁরা সবাই নিজের সাধ্যমত করে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আগ্রহের সঙ্গে দান করেছেন।