অবস্থা বেশ ভয়ঙ্কর। ফের একবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি গ্রহাণু। এই বিপত্তির নাম ‘ওপোফিস”। গ্রীক ভাষায় যার অর্থ ‘ধ্বংসের দেবতা’। এর গতিবেগ রয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার কিলোমিটার।
এটি দেখতে আপাতত একটি উল্কাপিণ্ড বা ছোট পাথরের মতো দেখতে লাগলেও যেভাবে এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তাতে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি এবার শেষের দিন ঘমিয়ে আসছে? আর বুঝি হাতে খুব বেশি সময় নেই। তবে কি মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা সত্যি হতে চলেছে।
অবস্থা এমন যে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী দেশ আমেরিকা বা তাঁকে হুমকি দেওয়া চিন অথবা আর্থিক ভাবে বলীয়ান ইউরোপ কিংবা টেকনোলজিতে উন্নত জাপান সকলেই এই বিপদের সামনে রীতিমতো অসহায় বোধ করছে। কারণ এই বিপদের হাত থেকে বাঁচতে এখনও কোনও পারফেক্ট উপায় তৈরি হয়নি। এখন আর সে সময়ও নেই।
যদি সত্যিই এই গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে তবে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা। এটি পৃথিবীতে আসলে ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরি জেগে উঠতে পারে। সমুদ্রের জলভাগে ভয়ঙ্কর সুনামির সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি যদি এই ‘বিপত্তি’ পৃথিবীকে ছুঁয়েও যায়, তবুও মারাত্মক ভূমিকম্পের সৃষ্টি হবে। যার ফলে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হবে।
‘ওপোফিস’ নিয়ে নাসা বড় ধরনের সতর্কবার্তা জারি করেছে। বিজ্ঞানীরা এই ‘ধ্বংসের দেবতা’র দিকে সবসময় নিজেদের কড়া দৃষ্টি রেখেছেন, কিন্তু যেভাবে সব বিপত্তি কাটিয়ে এটি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে তাতে কপালে ভাঁজ স্পষ্ট হচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
২১ মার্চ – এইদিন পৃথিবীর কাছে অগ্নিপরীক্ষার সমতুল্য। কারণ এইদিনেই ১ লক্ষ ২৩ হাজার কিলোমিটার গতিবেগের এই গ্রহাণু সৌরজগৎ দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাতে পৃথিবীর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারে নেই, একথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ওই দিনই সৌরজগতের কাছ থেকে যাবে এই গ্রহাণু।
কাউকে ভয় পাওয়ানো বা ভয় দেখানো এই প্রতিবেদনের একেবারেই উদ্দেশ্য না। একটি আগাম সতর্কতা হিসেবে নাসার সতর্কবাণীর ওপরেই ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন রচিত। এই মুহুর্তে অনেকেই প্রার্থনা করছেন, যাতে ২১ মার্চ কোনও বড় অঘটন না ঘটতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন