‘মুখ্যমন্ত্রী মাস্টারমশাইদের নালায় ফেলে দিয়েছে। ওই দুর্গন্ধযুক্ত নালায় কত সমস্যায় পড়লে মানুষ নামে।’ গতকাল আদিগঙ্গায় নেমে পার্শ্বশিক্ষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য় করলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মতো বুধবারও প্রথমে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ এবং পরে যোদপুর পার্কে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানেই গতকালের ঘটনা নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী মাস্টারমশাইদের নালায় ফেলে দিয়েছে। ওই দুর্গন্ধযুক্ত নালায় কত সমস্যায় পড়লে মানুষ নামে। শিক্ষকদের যে দুরাবস্থা এই রাজ্যে আন্দোলনের জন্য হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হচ্ছে, রাজ্যজুড়ে শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। ৬ বছর আগে টেটের পরীক্ষা হয়েছে, ছয় বছর পরে আবার ইন্টারভিউ হচ্ছে। হাস্যকর পরিস্থিতি হচ্ছে। বাম এবং কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন, তবে আব্বাস সিদ্দিকির দল হাতে থাকবে কিনা তা নিয়ে তারা এখনও দোলাচলে, এই জোট সাধারণ মানুষের না কয়েকজন নেতার অস্তিত্ব রক্ষার জোট। গত নির্বাচনে কংগ্রেস হাফ আর সিপিএম সাফ হয়েছে, এবার দুজনেই একই অবস্থা হবে। উত্তরপাড়ায় সরস্বতীর পুজোয় হুঁশিয়ারি দিয়ে যে পোস্টার পড়েছে এটা নিয়ে বজরং দলকে দলকে আগে জিজ্ঞেস করতে হবে আদৌ ওরা এটা করেছে কিনা।”
এছাড়াও গতকাল মুম্বইয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, ‘আরএসএস অরাজনৈতিক সংগঠন, আরএসএস প্রধান বহু মানুষের কাছে যান, বাংলা বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে এর আগে দেখা করেছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।’ অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে দীর্ঘ দোলাচলের পর তাঁকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল, এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জাতীয় মুখপাত্রের পদকে ললিপপের সঙ্গে তুলনা করে বলেন তৃণমূলের অপমানিত নেতারা দুর্ব্যবহারের কথা মনে রাখবেন। বহু নেতাকে সান্তনা পুরস্কার দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাঁরা এত বছর ধরে যে দুর্ব্যবহার সয়েছেন এই ললিপপ পেয়ে তা ভুলে যাবেন না।