চিপকে ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করে একাধিক রেকর্ড গড়লেন বিরাট কোহলি৷ দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারাল ভারত৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রানের নিরিখে যা ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়৷ একই সঙ্গে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেশের মাটিতে মাটিতে সর্বাধিক ২১টি টেস্ট জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছুঁলেন কোহলি৷
একই সঙ্গে এটি ভারতের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের টেস্ট জয়৷ দ্বিতীয় ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দুরন্ত সেঞ্চুরির পর চিপকে ভারতের জয়টা শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে ইংল্যান্ডের সামনে ৪৮২ রানের ‘অসম্ভব’ টার্গেট দিয়েছিল ভারত৷ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এত রান তাড়া করে কোনও দল জেতেনি৷ ইংল্যান্ডও পারল না৷ ভারতের স্পিনের থ্রি মাস্কেটিয়ার্সের বিরুদ্ধে ১৬৪ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ড৷ এদিন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টানা চার টেস্টে হারের পর জয়ে ফিরলেন ক্যাপ্টেন কোহলি৷ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচের সেরা হলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷
এই জয়ের ফলে ঘরের মাঠে ২১টি টেস্ট জিতে ধোনির রেকর্ড ছুঁলেন কোহলি৷ এতদিন ভারত অধিনায়ক হিসিবে দেশের মাটিতে সর্বাধিক টেস্ট জয়ের রেকর্ড ছিল ধোনির দখলে৷ কিন্তু মঙ্গলবার চিপকে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ধোনির সেই রেকর্ড ভাগ বসালেন বিরাট৷ তবে বিরাটের ২১টি জয় এসেছে ধোনির থেকে দু’টি টেস্ট কম খেলে৷ বিরাটের নেতৃত্বে ভারত ঘরের মাঠে ২৮টি টেস্টে ২১টিতে জয়, ২টি হার এবং পাঁচটি ড্র করেছে৷ আর ধোনির নেতৃত্বে ভারত ঘরের মাটে ৩০টি টেস্ট খেলেছিল৷ যার মধ্যে ২১টিতে জয়, তিনটি হার এবং ৬টি টেস্ট ড্র করেছিল ভারত৷
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান মোয়েন আলির৷ ৯ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮ বলে পাঁচটি ছয় ও তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে ঝোড়ো ৪৩ রান করেন৷ শুধু তাই নয়৷ ইংল্যান্ড ইনিংসের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ দশম উইকেটে৷ স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৮ রান যোগ করেন আলি৷ কুলদীপ বলে স্টাম্প-আউট হতেই আলি ও ইংল্যান্ড ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে৷ ইংল্যান্ড ইংনিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ক্যাপ্টেন জো রুটের ৩৩ রান৷ ইংল্যান্ডের পাঁচ ব্যাটসম্যান দু’ অংকের রানে পৌঁছতে পারেননি৷ অভিষেক টেস্টে ৬০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেটে তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর৷ ভারতের নবম বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন এই বাাঁ-হাতি স্পিনার৷
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.