করোনা আক্রান্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। তাঁকে আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার ৬৪ বছরের রূপানি অজ্ঞান হয়ে যান। বক্তব্য রাখতে রাখতে মঞ্চের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। জানা গিয়েছে রবিবার ভাদোদারার নিজামপুরা এলাকায় তিনি যখন সিভিক পোলের জন্য মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখনই অজ্ঞান হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
মঞ্চেই রূপানিকে ফার্স্ট এইড দেওয়া হয়। একটু পরেই দেখা যায়, মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে নামছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ভাদোদারা আসার আগে এদিন আরও দুটি সভা ছিল বিজয় রূপানির। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, অত্যাধিক চাপেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু পরে চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর।
ঘটনার পরেই এক বিজেপি নেতা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে জানান, “জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তিনি পড়ে যাওয়ার সময় তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ধরে ফেলেন। স্টেজের ওপরেই প্রাথমিক চিকিত্সা করার পর তাঁকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিমানে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।”
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, গত দুদিন ধরে বিজয় রূপানির শরীর মোটেই ভালো ছিল না। কিন্তু তবুও শনি ও রবিবার সভা বাতিল করেননি তিনি। তখন জানা যায় বিপদমুক্ত হয়েছেন রূপানি। যদিও বিপদ যে কাটেনি, তা বোঝা গেল করোনা পরীক্ষার পরে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খবর নেন মোদী। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপর করোনা পরীক্ষার পরেই শরীর অসুস্থ হওয়ায়র মূল কারণ জানা যায়।
এদিকে, এক নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে কোনও একজন বা দুজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হলে সেই রোগী অফিসের কোথায় কোথায় গিয়ে কাজ করেছেন, তা চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সঠিক পদ্ধতিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলবে। তবে ওই ব্যক্তি অফিসের কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা বাঞ্ছনীয়। তবে স্যানিটাইজেশনের পরেই চালু করা যেতে পারে অফিস, সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।