যেন না ভুলি কভু

‘মহারাষ্ট্রের পুসাদ শহর কে জঙ্গল সত্যাগ্রহর স্মারক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে’-  এই মর্মে জোরালো দাবী  পেশ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ অধ্যাপক রাকেশ সিনহা।  ১২ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার, উপরাষ্ট্রপতি ও সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান এর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেন তিনি।

 ব্রিটিশ আমলে পুসাদ মহারাষ্ট্রের যবৎমল জেলার একটি ছোট ‘তালুক’ ছিল। ১৯৩০ সালে দেশব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে ডঃ কেশব বলিরাম হেগডেওয়ার এর নেতৃত্বে এখানে জঙ্গল সত্যাগ্রহ পালিত হয়।

 স্বাধীনতা আন্দোলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষ্য বহনকারী বহু স্থানই এখন অবহেলিত।

 এই মুহূর্তে 75 তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত দেশবাসী। স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিস্মৃতপ্রায় এই স্থান গুলিকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনার জন্য এই সবচাইতে প্রশস্ত অবসর মনে করছেন অধ্যাপক সিনহা।

 ১৯৩০ সালে বিখ্যাত ডান্ডি কবে যাত্রার মাধ্যমে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয়। 

তৎকালীন বিদর্ভ কংগ্রেস কমিটির সচিব, ডঃ কেশব বলিরাম হেগডেওয়ার এর নেতৃত্বে লবণ সত্যাগ্রহের পরিবর্তে ২১শে জুলাই জঙ্গল সত্যাগ্রহের সূচী নির্ধারিত হয়।

 সেইমতো, ১৪ই জুলাই, ডক্টর হেগডেওয়ার নেতৃত্বে নাগপুর থেকে পুসাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন অজস্র সত্যাগ্রহী।  একুশে জুলাই ১০০০০ সত্যাগ্রহীর সাথে  কেশবজী পুসাদে জঙ্গল সত্যাগ্রহ পালন করেন।

 ব্রিটিশ পুলিশ কেশবজি সহ সমস্ত সত্যাগ্রহী কে গ্রেফতার করে বিচারে তাঁদের ১বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়‌। 

এই আন্দোলন আইন অমান্য আন্দোলনের প্রথম পর্বে নব প্রাণসঞ্চার করে। বিদর্ভ তে কেশবজীর সমর্থনে মিছিল বেরোয়‌, মদের দোকানের সামনে পিকেটিং করেন সত্যাগ্রহী রা।

জঙ্গল সত্যাগ্রহের এই পূণ্যভূমি আজ অনাদৃত অবহলিত। লোকচক্ষুর অন্তরালে  ঘন জঙ্গলের ভেতর একটি মাত্র সাইন বোর্ড এই জায়গার অতীতস্মৃতির কথক।  ঐতিহাসিক স্থানের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে ই এই আবেদন – ব্যাখ্যা করলেন অধ্যাপক সিনহা।

ADITYA

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.