যোশীমঠের রৈনি গ্রাম ও তপোবন সুড়ঙ্গের মহাবিপর্যয় নতুন করে ভাবাচ্ছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার ও প্রশাসনকে। নতুন করে ভাবতে বসেছেন বিশেষজ্ঞরাও। কারণ ফের আরও বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কার পিছনে রয়েছে ঋষিগঙ্গার উঁচু অববাহিকায় তৈরি হওয়া নতুন হ্রদ। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, ধস, বিপর্যয়ের চরম বিপদসীমায় রয়েছে উত্তরাখণ্ডের মোট এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলার ৩৮৫টি গ্রাম। এই ৩৮৫টি গ্রামের সকল গ্রামবাসীকে নিরাপদে এখনই সরাতে গেলে দরকার ১০ হাজার কোটি টাকা। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পুনর্বাসন প্রকল্প যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই আপাতত ধসপ্রবণ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে এবং গবাদি পশুগুলিকে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। তেহরি, চামোলি, উত্তরকাশী ও বাগেশ্বরে এই গ্রামগুলি রয়েছে। যে ৩৮৫টি গ্রামকে এখনই সরানো দরকার বলে ভূতাত্ত্বিক ও বিশেষজ্ঞরা রায় দিয়েছেন সেই গ্রামগুলি রয়েছে পিথোরাগড়, আলমোড়া, নৈনিতাল, দেরাদুন, মুন্সিয়ারি, রুদ্রপ্রয়াগ, উত্তরকাশী, চামোলি, বাগেশ্বর, পৌরি, তেহরিতে।
বিপর্যয় মোকাবিলাকারী বাহিনী, রাজ্য সরকার এবং ITBP সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত মোট ৪০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে রৈনি গ্রামে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ২০০ জন। তাঁদের হদিশ পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল। তপোবন সুড়ঙ্গের মধ্যে আটক শ্রমিক ও নির্মাণকর্মীদের উদ্ধার করাটাই এখন প্রধান লক্ষ্য। এজন্য দিনরাত কাজ চলছে। চামোলির জেলাশাসক স্বাতী ভাদোরিয়া নিজে উদ্ধারকাজ তদারক করছেন। তিনি জানিয়েছেন, সর্বশক্তি নিয়োগ করে তপোবন সুড়ঙ্গে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। সমান্তরালভাবে আরেকটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত ১৩৬ মিটার খোঁড়া হয়েছে। তপোবনের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জন আটকে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।