সকালটা মেঘলা, কুয়াশা ঢাকা। কিন্তু একটু বেলা বাড়লেই সূর্যদেব উঁকি দিতেই তাপ বাড়ছে। বাড়ছে অস্বস্তি। দুপুরের দিকে রীতিমত ঘাম। সবমিলিয়ে শীত বিদায়ের প্রস্তুতি চলছে বঙ্গে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কিছুটা একই রকম ছবি। জেলায় তাপমাত্রা কম হলেও, শহর কলকাতা (Weather Update of Kolkata) তো সোয়েটার নিয়ে পারতপক্ষে দিনের বেলায় বের হচ্ছে না। এমনকী দুপুরের দিকে হালকা করে ফ্যান চালালেও মন্দ হয় না, বলছেন শহরবাসী।
আগামী কয়েকদিন এরকমই চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ১৭ ডিগ্রির আশেপাশে। শীতের শেষবেলায় তাই পারদ ওঠানামা চলছে। কুয়াশার জন্য শীতের সকাল আরামদায়ক হলেও, কুয়াশার চাদর সরতেই ফের অস্বস্তি শুরু।
চলতি মাসের শুরুতেই হাত খুলে দাপটের সাথে ব্যাটিং করেছে শীত। গত ১০ বছরে এটাই ছিল শীতলতম ফেব্রুয়ারি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রধান গণেশ কুমার দাস জানিয়ে ছিলেন, এই পরিস্থিতি বেশ উপভোগ্য এবং নজিরবিহীন। কিন্তু আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও জমিয়ে শীত উপভোগ করেছিলেন বাংলার মানুষ।
রাতে ঠান্ডার রূপ বোঝা গেলেও দুপুরের দিকে রীতিমতো গরম অনুভূত হচ্ছে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই তাপমাত্রার এমন আমূল পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে শীতের বিদায় বেলায় ফেব্রুয়ারির বাকি সময়টা জুড়ে এমনই আবহাওয়া বিরাজ করবে। সাধারণত আমরা জানি শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়ে থাকে। কিন্তু বিগত কিছু বছরে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে শীতের প্রভাব অনেকটাই কমেছে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়টা জুড়েই পশ্চিমবঙ্গে গরম আবহাওয়াই বিরাজমান।
শনিবারের ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি। রবিবার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। পশ্চিমা বায়ুর দাপট বিদ্যমান। এর মধ্যে রাজ্যে আবার সরস্বতী পুজো আগামী ১৬ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার। শুক্রবার স্কুল খোলায় এবারের পুজো নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ আশা করেই রয়েছে। তবে সরস্বতী পুজোয় কতটা ঠান্ডা থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।