আর পাঁচটা দিনের মতোই ছিল কাশ্মীরের সেই সকাল। কিন্তু অজান্তেও কেউ জানতে পারেনি দেশ হারাবে তার ৪০জন বীর সন্তানকে। ২০১৯ সালের ভয়াবহ স্মৃতি (Pulwama terror attack)। পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালানো হয়।
একটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী গাড়ি সিআরপিএফের কনভয়ে ধাক্কা মারে। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন জওয়ানের। এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা এনআইএ। পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহার এবং তাঁর ভাই রউফ আসগারের নাম ওঠে মূলচক্রীর তালিকায়।
কিভাবে ছক কষা হয়েছিল ও সেই কাজ করা হল সেই পর্দাফাঁস হয় (war against terrorism)। পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত হওয়া আরডিএক্স পাকিস্তান থেকেই এসেছিল সেই প্রমাণ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা পেশ করে। সেই সঙ্গে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের প্রমাণও পেশ করে এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মোবাইলে রেকর্ড করা ভিডিও, কললিস্ট-সহ বহু প্রমাণ এনআইয়ের কাছে ছিল।
এনআইয়ের তদন্ত অনুসারে, এই হামলা পুরোটাই জইশ নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় মাসুদ আজাহার, রউফ আসগরের-সহ প্রায় ২০ জনের নামে আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হল আদিল আহমেদ দার, সাকির বসির মারগ্রে, মহম্মদ ইকবাল, বিলাল আহমেদ কুচে, ওমর ফারুক। এরা ছাড়াও লস্করের কয়েকজন স্থানীয় কর্মীর নাম থাকছে চার্জশিটে।
জানা যায়, সেনা কনভয়ে আদিল আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল। জইশের কম্যান্ডার ওমর ফারুক উপর পুরো হামলার তত্ত্বাবধানে ছিল। বিস্ফোরক পাকিস্তান থেকে আনানোর ব্যবস্থাও সেই করেছিল। কাশ্মীরেই বসবাস করত সে। ঘটনার মাসখানেক বাদে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে।
সাকির বসির মারগ্রে হামলাকারী গাড়িটির চালক। তবে ঘটনাস্থলের ঠিক ৫০০ মিটার আগে সে গাড়ি থেকে নেমে পালায়। এর বাড়িও কাশ্মীরে। চলতি বছরে গ্রেফতার হওয়া ইকবালের দায়িত্ব ছিল সীমান্ত থেকে জঙ্গিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আস্তানার ব্যবস্থা করা।