আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে, বিপর্যয়ে মৃত্যু বেড়ে ৩৮

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় বিপর্যয়ের ৭ দিন পরেও খোঁজ মিলল না তপোবনে বিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা। শনিবার পর্যন্ত মোট ৩৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ২০০-রও বেশি। শনিবারও চামোলি জেলার যোশীমঠের তপোবন সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে আইটিবিপি, এনডিআরএফ, সেনাবাহিনী এবং এসডিআরএফ। সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করে আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে আশঙ্কা তত বাড়ছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) নন্দাদেবী পর্বত থেকে আচমকা তুষারধস নেমে আসায় ধৌলিগঙ্গা এবং ঋষিগঙ্গায় হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। এই বিপর্যের জেরে জোশীমঠ, তপোবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তপোবনে নির্মীয়মাণ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সকালে চামোলি জেলার জেলাশাসক স্বাতী এস ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, চামোলিতে উদ্ধারকাজের সপ্তম দিন পর্যন্ত মোট ৩৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, বাকি ২৬ জনকে শনাক্ত করা যায়নি এখনও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.