কিছুদিন আগে দু’দিনের সফরে এসে পশ্চিমবঙ্গে হিংসামুক্ত বিধানসভা নির্বাচন করার লক্ষ্যে কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে ফের একবার বৈঠকে বসার কথা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। সেই সময় যাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রশ্ন না থাকে, তার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব। কোন কোন জেলায় কি কি আইন শৃঙ্খলার সমস্যা এবং পোলিং বুথ সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ইতিমধ্যেই ২১ এবং ২২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ভোট প্রস্তুতিপর্ব বিস্তারিত খতিয়ে দেখে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে অসমে ভোট প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখে এসেছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার তামিলনাডু সফরে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ তারপর সেখান থেকে কেরলে গিয়ে ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখার পর ১৫ তারিখ দিল্লি ফিরবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সূত্রের খবর, তার পরই চার রাজ্যের সিইও’র সঙ্গে ভোটপ্রস্তুতি সংক্রান্ত চূড়ান্ত বৈঠক করতে চলেছে কমিশন। ওই বৈঠকের পরই নির্বাচনী সূচি ঘোষণা হয়ে যাবে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ১৮ ফেব্রুয়ারির পর যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হতে পারে। তাই এদিন তাই জেলাশাসকদের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা, বুথ নিরাপত্তা, পোস্টাল ব্যালট বিতরণ-সহ প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। প্রয়োজনীয় অদল বদলের নির্দেশও দেন তিনি। এছাড়াও ইতিমধ্যেই রাজ্যে অতিরিক্ত বুথগুলি চিহ্নিতকরণের রিপোর্টও জমা দিয়েছেন জেলাশাসকরা। কোভিড-সংক্রান্ত বিধি সঠিকভাবে কার্যকর করতে জেলাগুলিকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নোডাল অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। ভোটে নতুন বিধি নিয়ে দিনকয়েকের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলির প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে। সেই বিষয়েও জেলাশাসকদের বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব।