মঙ্গলের পৃষ্ঠে Mars 2020 Perseverance rover ল্যান্ডিংয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য জনসাধারণকে আমন্ত্রণ জানাল নাসা। লাল গ্রহের মাটিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টে ৫৫ মিনিটে এই রোভার নামবে।
নাসার সাদার্ন ক্যার্লিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশিয়াল ল্যাবরেটরি থেকে এর সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ ভার্চুয়ারি রোভার ল্যান্ডিয়ের সাক্ষী থাকতে পারবে। স্থানীয় সময় ২টো ১৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এই সম্প্রচার। নাসা টিভি পাব্লিক চ্যানেল ও নাসার ওয়েবসাইটে দেখানো হবে এই সম্প্রচার। এছাড়া নাসা অ্যাপ, ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক, লিঙ্কডিন, টুইচ, ডেইলি মোশন ও THETA.TV-তেও এই ভিডিও দেখা যাবে।
সাত মাসের যাত্রার পর এবার মঙ্গল গ্রহের মাটিতে নামার পালা মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্সের। এই পারসিভিয়ারেন্সে রয়েছে একটি ল্যান্ডার ভিশন সিস্টেম, রয়েছে টেরেন রিলেটিভ নেভিগেশন। পারসিভিয়ারেন্সের যাত্রাই ২০২০ সালে নাসার সর্বাধিক বড় মিশন ছিল। এই মঙ্গলযানে রিয়েল টাইম ছবি তুলে রাখার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রয়েছে। মঙ্গলযানটির মধ্যে থাকা সফটওয়্যার এই রোভারকে পছন্দমত স্থান নির্বাচন করে নামতে সাহায্য করবে।
নাসা জানাচ্ছে, মঙ্গলে ‘জেজোরো ক্রেটার’ এলাকায় নামতে চলেছে নাসার সাধের মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। এলাকাটার আয়তন ২৮ মাইলেরও বেশি। ওই গোটা এলাকাই জেজোরো ক্রেটার নামে পরিচিত। এই জায়গাটি বেশ কয়েক কোটি বছর আগে কোনও সুবিশাল আগ্নেয়গিরির জন্য ওই বিশালাকার গর্ত বা ক্রেটার তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এলাকাটি ভর্তি খুব উঁচু উঁচু পাহাড়ে। সমতল সেখানে খুবই কম। ৩০০ কি ৪০০ মিটার অন্তর সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
তাই অবতরণের জন্য প্রয়োজন অসম্ভব দক্ষতার। নিখুঁত টাইমিং ও সঠিক স্থান নির্বাচন এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। নামার আগে থেকে খুব নিখুঁত ভাবে জায়গাটাকে চিনতে বুঝতে না পারলে যে কোনও সুউচ্চ পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়তে পারে নাসার ল্যান্ডার ও রোভার। এমনকি তা পাহাড়ের খাঁজে আটকে গিয়ে বিকল হয়ে যেতে পারে মুহুর্তে।