ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। ক্রমাগত দলত্যাগের বহরের মধ্যেও এই ‘দুয়ারে সরকার’কে কেন্দ্র করেই ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখাছে রাজ্যের শাসকদল। যা কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার এই কৌশলের পালটা হিসেবে মানুষের ‘দুয়ারে’ পৌঁছে যেতে চাইছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রাজ্য ছাড়ার আগে নাকি দলের রাজ্য নেতাদের তেমনই রণকৌশল বাতলে দিয়েছেন। আসলে, ভোটের প্রচারে যতই মিটিং-মিছিল করা হোক না কেন, মানুষের দরজায় পৌঁছতে না পারলে যে ভোটবাক্সে সোনার ফসল ফলানো যাবে না, তা ভালই বুঝে গিয়েছেন দুঁদে রাজনীতিবিদ শাহ।
বৃহস্পতিবার যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি সেরে গভীর রাত পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), স্বপন দাশগুপ্তরা। রাজ্যের সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অমিত শাহ আগামী দিনের জন্য রণকৌশলও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বিজেপির যে পরিবর্তন যাত্রা রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে, মূলত সেই যাত্রাকে কেন্দ্র করেই আগামী দিনের ছক কষেছেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ, পরিবর্তন যাত্রাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে আলাদা করে ৪২টি জনসভা করতে হবে। যাতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই আয়োজন করতে হবে মাঝারি মাপের জনসভা। যাতে হাজির থাকবেন দলের রাজ্য নেতারা। এছাড়াও প্রতিটি বুথে পথসভা এবং ছোট ছোট আলোচনা সভার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারটিতে। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী মাসদুয়েক দলের কর্মীদের কিছুটা অতিরিক্ত পরিশ্রম করতেই হবে।
রাজ্যে তৃণমূল সরকারের উৎখাত চেয়ে ইতিমধ্যেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। শাহ নিজে বেঁধে দিয়েছেন ‘চলো পালটাই’ স্লোগান। বৃহস্পতিবার রাজ্য নেতাদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এই চলো পালটাই স্লোগানকে এবার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিতে চান শাহ। কেন তাঁরা পরিবর্তন চাইছেন, আগামী দিনে বিজেপি কোন পথে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চায় সবই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতাদের।