BREAKING: SFI-এর বিক্ষোভের জের, অবরুদ্ধ যাদবপুর

এসএফআই-এর বিক্ষোভের জেরে প্রায় অবরুদ্ধ যাদবপুর। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট থেকে মিছিল শুরু করেছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে যাদবপুর থানা অবধি যাবে এই মিছিল। থানার সামনেও একদফা বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে।

থানার দিকে যেতে যেতে রাস্তার মাঝেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন এসএফআই কর্মী সমর্থকেরা। ওঠে আজাদির স্লোগানও। এসএফআই কর্মী সমর্থকদের দাবি, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের সময় তাঁদের ওপর পুলিশ যে আক্রমণ চালিয়েছে তা নক্ক্যারজনক। এরই প্রতিবাদে এদিন তাঁদের ধর্মঘট ও মিছিল।

বিকেল ৪ টে নাগাদ এই মিছিল বার হওয়ায় কিছুটা অসুবিধার মুখে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। যাদবপুর থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেন মিছিলের সামনে থাকা কয়েকজন এসএফআই কর্মীরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র -যুব সংগঠনের নবান্ন মিছিলে ধুন্ধুমার ঘটে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। ডোরিনা ক্রসিংয়ে রণক্ষেত্র চেহারার সৃষ্টি হয়। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়, আবার কাঁদানে গ্যাস-জলকামান ব্যবহার করা হয় পুলিশের তরফে। পুলিশের সঙ্গে বাম সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি হয়, তাতে আহত হয়েছেন ডিসিপি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বামেদের প্রতিরোধ করতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এলুমিনিয়ামের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল৷ নবান্নের সামনে পুলিশ পিকেট বাড়ানো হয়। শহর জুড়ে প্রায় ৪,০০০-র বেশি পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়। তিন স্তরে ছিল নিরাপত্তা৷ ছিল ব়্যাফ,মহিলা পুলিশ বাহিনী।

অন্যদিকে “কার নির্দেশে ছাত্র-যুবদের ওপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছে? এর হিসেবে নেওয়া হবে।এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” শুক্রবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “কাজের দাবিতে, শিক্ষার ছাত্র-যুবরা আন্দোলন করলো, আর তাদের ওপর পুলিশ অত্যাচার করল। একটা অসৎ সরকারের অসৎ পুলিশ।”

সেলিম এদিন বলেন, “কি ভাবে পুলিশ মিছিল, মিটিং, ভিড় সামলাবে সেটার একটা আইন আছে, নিয়ম আছে, তার জন্য প্রশিক্ষণ হয় । আইপিএসরা অশিক্ষিত সরকারের সঙ্গে কাজ করে অশিক্ষিত হয়ে গেছে । ছাত্ররা ময়দান চেয়েছিল। সেটা না দিয়ে একটা বদ্ধ জায়গায় ছাত্রীদের ঢুকিয়ে পুলিশ পেটালো। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। কার নির্দেশে পুলিশ মারলো? যত রক্ত ঝরেছে তার হিসেবে নেবো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.