কয়লা পাচার কাণ্ডে আজ শুক্রবার বড় রায় ঘোষণা করতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।
বেআইনি কয়লা পাচার তদন্তে সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ে করেছিল এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। তার বিরুদ্ধে সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছে তা খারিজ করারও আবেদন জানিয়েছিল লালা।
প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, রেল এলাকার বাইরে তদন্ত করতে হলে রাজ্যের সহযোগিতা নিতে হবে। সেই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই।
বিচারপতি রাজেশ বিন্দাস ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়েছে। আজ সেই মামলারই রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। এই মামলার শুনানির সময়ে সিবিআইয়ের তরফে সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। রাজ্যের তরফে সওয়াল করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সওয়ালে সলিসিটর জেনারেল এও বলেছিলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অনুপ মাঝির তুলনায় যেন রাজ্য সরকারের আগ্রহ বেশি বলে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় সিবিআইয়ের গঠন হয়েছিল। নিয়ম হল, কোনও রাজ্যে সিবিআই কোনও মামলার তদন্ত করতে গেলে সেই রাজ্যের অনুমতি নিতে হয়। বাম জমানায় সিবিআইকে সেই অনুমতি দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার সেই কনসেন্ট তুলে নেয়। তার ফলেই নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিরোধীদের অনেকের অভিযোগ, সিবিআইয়ের তদন্ত থেকে বাঁচতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে যে বেআইনি কয়লার কারবার হয়েছে তা সবাই জানে। সেই তদন্তে বাধা দেওয়ার স্বার্থ কার থাকতে পারে তাও আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে একটি সূত্রের মতে, সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তে বাধা দিলে অন্য ব্যবস্থা হয়তো নিতে পারে তদন্তকারী এজেন্সি। তখন হয়তো আরও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।