বামেদের ডাকা হরতালের আংশিক প্রভাব লক্ষ্য করা গেল পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা মোটের উপর স্বাভাবিকই, সকাল থেকেই কলকাতায় বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি স্বাভাবিক ছন্দেই চলেছে। মানুষও বেরিয়েছেন কাজে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে সকালে ভিড় অন্যান্য দিনের মতোই দেখা গিয়েছে। কিন্তু, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেল অবরোধ করেছেন ধর্মঘটীরা। জেলায় বিভিন্ন রাজ্য ও জাতীয় সড়কও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এদিন সকালে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করেন হরতাল সমর্থকরা। ফলে ট্র্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। আবার যাদবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা, মিছিলও করা হয় যাদবপুরে। ডায়মন্ড হারবার সেকশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলেন হরতাল সমর্থনকারীরা। ৭.৫০ থেকে ওই লাইনে স্তব্ধ হয় ট্রেন চলাচল। দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখায় ডোমজুড় স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। আটকে যায় ডাউন আমতা-হাওড়া লোকাল। অশোকনগরে লেভেল ক্রসিংয়ের ২৬ নম্বর গেট অবরোধ করা হয়। বনগাঁ লাইনে ট্রেন চলাচল ৮.১৫ থেকে ব্যাহত হয়, পরে অশোকনগরে উঠে যায় রেল অবরোধ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রাণে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন বাম সমর্থকরা। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে ঘোষ পাড়া রোডে মিছিল বার করেন বামেরা। এদিন সকালে প্রায় জনশুন্য ছিল শিলিগুড়ি।উল্লেখ্য, রাজ্যে নতুন শিল্প, বেকারদের চাকরি-সহ বেশ কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম-কংগ্রেসের ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। এসএন ব্যানার্জি রোডে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে পুলিশের। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করা হয়। বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। লাঠির ঘায়ে কয়েক জন বিক্ষোভকারী আহত হন বলেও অভিযোগ। তার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বামেরা। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
2021-02-12